বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রাম পৌরসভা চত্বর থেকে নিলাম ছাড়াই গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রির চেষ্টা

কুড়িগ্রাম পৌরসভা চত্বর থেকে নিলাম ছাড়াই গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রির চেষ্টা

সাইয়েদ বাবু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-: কুড়িগ্রাম পৌরসভা চত্বর থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে পরিত্যক্ত দুটি ট্রাকের যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন কাউন্সিলরসহ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিলাম ছাড়াই এসব যন্ত্রাংশ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌরসভা চত্বরে গিয়ে এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান এমন কর্মকান্ডকে নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দাবি করেছেন। তবে কোনও নিলাম হওয়ার আগেই এভাবে গাড়ির যন্ত্রাংশ খোলা ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত বলে স্বীকার করেছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে থেকে পড়ে থাকা দুটি পরিত্যাক্ত ট্রাকের বিভিন্ন অংশ খুলছেন এক মেকানিক। কিছু অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করছেন। সাংবাদিক পৌঁছার খবরে তাড়াহুড়ো করে খুলে ফেলা যন্ত্রাংশ পৌরসভার গোডাউনে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্মচারীরা।

যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়ার প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই মেকানিক বলেন, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তফা কামাল পাশার নির্দেশে যন্ত্রাংশ খোলা হচ্ছে। কিছু যন্ত্রাংশ গাড়িতে করে সরানো হয়েছে। আমি আর কিছু জানি না।

পৌরসভার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন কাউন্সিলর মিলে পরিত্যাক্ত ট্রাক দুটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। যা হচ্ছে বিধি সম্মত হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিলাম প্রক্রিয়া করা হয়েছে কিনা জানা নেই। এসব বিষয় নির্বাহী প্রকৌশলীর আওতাধীন। তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যন্ত্রাংশ খুলে রাখা হচ্ছে। পরে এগুলো নিলাম করা হবে।

নিলামের সিদ্ধান্ত ছাড়া এভাবে যন্ত্রাংশ খুলে রাখা বিধি সম্মত কিনা, এমন প্রশ্নে মোস্তফা কামাল বলেন, এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী জানেন। যন্ত্রাংশ খোলা বন্ধ রাখা হয়েছে। খুলে রাখা যন্ত্রাংশ অফিস গোডাউনে রাখা হয়েছে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন,গাড়ি দুটি নিলামের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে নিলামের আগে এভাবে যন্ত্রাংশ খুলে রাখা ভুল হচ্ছিল । আমি পরে বন্ধ রাখতে বলেছি।

পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, এখনও অকশন হয়নি।গাড়ি দুটির যেটুকু যন্ত্রাংশ খোলা হয়েছে তা পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র।

৮৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares