রবিবার- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিতে রহমান পটুয়াখালীতে চিনিগুড়া ধানের বাম্পার ফলন

শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিতে রহমান পটুয়াখালীতে চিনিগুড়া ধানের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সুগন্ধি চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান’র গ্রামের বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন পূর্ব দশমিনায় এবার দেড় একর জমিতে সুগন্ধি চিনি গুড়া, ভিত্তি তেইশ ও স্বর্ণ গোটাসহ সাড়ে ৭ একর মোট নয় একর জমিতে ধানের আবাদ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিন পূর্ব দশমিনায় গেলে স্থানীয় কৃষক মো. আমিনুল, মিজানুর ও খলিল বয়াতি জানান, তারা আগামীতে তাদের জমিতে চিনি গুড়া ধানের আবাদ করবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১শ’ ২৩ একর জমিতে এবার সুগন্ধি চিনিগুড়া ধান আবাদ করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদি ইউনিয়নের ২২নম্বর গুলিআউলিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি কাজে সফলতায় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কৃষকের উপাধি পেয়েছেন।

এবিষয়ে ২২নম্বর গুলি আউলিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মাদ জাফর আহাম্মেদের পরামর্শে এবার বিভিন্ন জাতের নয় একর জমিতে ধানের আবাদ করেন। তিনি আরো জানান, তিনি মোট নয় একর জমিতে প্রায় দ্ইু লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেন তাতে ফলন ভাল এবং সংসারে বছরের খোরাক (মওজুদ) রেখে প্রায় দুই লাধিক টাকার ধান বিক্রি করবেণ বলে আশা করেন। চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষক বীজ ধান রাখার জন্য আগাম বলে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ জানান, সুগন্ধি চিনি গুড়া চালের দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে আর বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। শিক্ষক আবদুর রহমানের চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ কয়েকজন বীজ ধান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন

১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS