বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মধ্যবিত্তের চাপা কান্না পটুয়াখালীতে গরিবের কষ্ট কেউ দেখে না

মধ্যবিত্তের চাপা কান্না পটুয়াখালীতে গরিবের কষ্ট কেউ দেখে না

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি ; পটুয়াখালীতে ভোগ্যপণ্যের বাজারে নেই স্বস্তি। এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। চড়া পণ্যমূল্যে আঁতকে উঠছেন মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম। ভোজ্যতেলের বাজারে কারসাজি তো রয়েছেই। বিশ্ব বাজারে কমছে গমের দাম, তবুও দেশের বাজারে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম। চালের বাজারে অস্থিরতা। মাছ-মাংসের বাজারে আগুন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দামও। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির চাপও সবার আগে এসেছে সাধারণ মানুষের ওপরে। পোশাক-আশাক, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যয় সব দিকেই বাড়তি মূল্য। আর এ সব কিছুর দাম বৃদ্ধির চাপে সবার আগে চিড়ে চ্যাপ্টা স্বল্প আয়ের মানুষ।

দিনমজুর শহিদুল ইসলাম বলেন, আগে নিত্যদিনই কাজ পাইতাম। কোনো দিন কাজ না পেলে বাড়িতে থেকে বাড়ির কাজ করতাম। সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় শ্রমিক পাওয়ায় এখন আর সেরকম কাজ আমরা পাই না। আমাদের চলতে খুবই কষ্ট হয়। গরিবের কষ্ট কেউ দেখে না। মধ্যবিত্তের তো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাদের নিরব কান্না শোনার কেউ নেই। ধারকর্য করে সংসার চালাচ্ছি।

এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তি সামসুল হক রাড়ি। থাকেন উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া এলাকায়। ২৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন তার স্ত্রী আর নিজে স্থানীয় সার্ভেয়ার। স্বামী-স্ত্রী ও ৩সন্তানের সংসার চলে এই আয়ে। কিন্তু সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর কুলাচ্ছে না দু’জনের আয়ের টাকায়।

অন্য আরেক মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তি ইব্রাহিম আহাম্মেদ অরবিল বলেন, নিজে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে ছেলে-মেয়ে ঢাকায় লেখা পড়ার খরচ বহন করে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।

৪২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares