বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামের অনেক বিএনপির নেতা কর্মী ভিন্ন-ভিন্ন কৌশলে ঢাকার পথে

কুড়িগ্রামের অনেক বিএনপির নেতা কর্মী ভিন্ন-ভিন্ন কৌশলে ঢাকার পথে

 মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধিঃ খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার  একদফা দাবিতে আগামীকাল ২৮শে অক্টোবর শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে, কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভিন্ন-ভিন্ন কৌশলে রওনা দিয়েছেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। ইতোমধ্যেই সহস্রাধীক নেতা কর্মী আজ ২৭শে অক্টোবর শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। বাকীরা আগামীকাল সকালের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে যাবেন বলে জানিয়েছেন। দলের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশি হয়রানি ও তল্লাশি এড়াতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন ও বিভিন্ন দিক- নির্দেশনা অনুসরণ করছেন বিএনপি নেতা কর্মীরা। ঢাকায় মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যে যাওয়া নেতা কর্মীদের দলবদ্ধ ভাবে না যাওয়া, হোটেল-মেসে না থাকা, স্মার্ট ফোন না ব্যবহার করা সহ নানা নির্দেশনা মেনে যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে  অত্যন্ত কৌশলী হয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে রওনা দিয়েছেন তারা। সড়ক, আকাশ ও জলপথে ইতোমধ্যে এসব নেতাকর্মী রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির কুড়িগ্রাম জেলার নেতা-কর্মীরা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মহাসমাবেশ সফল করতে যেকোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। পুলিশি হয়রানি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঢাকায় রওনা হয়েছেন তারা। বিশেষ করে পুলিশি তল্লাশি ফাঁকি দিতে অধিকাংশ নেতা-কর্মী পানিপথে যাত্রা করেছেন।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান জোবায়ের হিমেল বলেন, ছাত্রদলের ৫ শতাধিক  নেতা-কর্মী সড়কপথে ও ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে পানিপথে ঢাকায় রওনা হয়েছে। আমরা যেকোন মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করতে চাই।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবীর বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমি পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সড়কপথে ঢাকায় যাচ্ছি। মহাসমাবেশ সফলে আমরা বদ্ধপরিকর এবং আওয়ামীলীগের যেকোন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবোই।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, মহাসমাবেশ সফল করতে সমগ্র জেলা থেকে প্রায় দশ হাজার নেতা-কর্মী যোগদান করবে। নেতা-কর্মীরা এখন পর্যন্ত পুলিশি কিংবা আওয়ামীলীগের হয়রানির শিকার হয়নি।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহুরুল আলম বলেন,বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার  নেতা-কর্মী মহাসমাবেশে যোগদান করবেন এবং সমাবেশ সফল করবে।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মহাসমাবেশ সফলে কেন্দ্র ঘোষিত কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাসের কুড়িগ্রামে আগমনের কথা থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে সৈয়দপুরে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ  করি এবং সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার দশ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীরা কৌশলী হয়ে স্ব স্ব উদ্যোগে রওনা দিয়েছেন। আমরা যেকোন মূল্যে মহাসমাবেশে উপস্থিত হবো-ইনশাল্লাহ্। সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার বলেন আমরা যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করবো ইনশাআল্লাহ্ ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা ও সভাপতি তাসভিরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ বিষয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরনের  নাশকতা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করব।
৬৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares