বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিসর্জনে মধ্যদিয়ে বিদায় নিলেন দুর্গতিনাশিনী

বিসর্জনে মধ্যদিয়ে বিদায় নিলেন দুর্গতিনাশিনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন, চলে গেলেনও ঘোড়ায় চড়ে, যা শুভ লক্ষ্মণ নয়। বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে ‘আনন্দময়ী’ দেবী ফিরে গেলেন ‘কৈলাসের দেবালয়ে’, ঢাকের বাদ্য আর আবির খেলায় বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সাঙ্গ হল বাঙ্গালি হিন্দুর সনাতন ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দুর্গ উাৎসবের।
রংপুর মহানগরীর ১৫৭টি মন্ডপে এ উৎসবের সূচনা হয় দশ দিন আগে, মহালয়ার মধ্য দিয়ে। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ আর ‘দর্পণ বিসর্জনে’ দুর্গা পূজার শাস্ত্রীয় সমাপ্তি হয়।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভূজা দেবী; বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গা উৎসব।
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে রংপুর নগরীতে একটি বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির আয়োজনে বিকেলে নগরীর সুরভি উদ্যানের সামনে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শোভাযাত্রার ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বিপিএম বার, পিপিএম বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মোবাশ্বের হাসান।
বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি রাম জীবন কুন্ড’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. প্রশান্ত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি শ্রী হারাধন রায় হারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী ধীমান ভট্টাচার্য্য ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিকাশ রায়, তরুন সমাজসেবক মোঃ তানবীর হোসেন আশরাফিসহ বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। রংপুর মুলাটোল পুকুরে সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। একের পর এক প্রতিমা নিয়ে আসতে থাকেন মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মালম্বি ভক্তরা। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে প্রতিমা বির্সজন।
২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS