চারঘাটে শর্ট-র্সাকিটের আগুনে পুড়ে স্বামী-স্ত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে
চারঘাট (রাজশাহী)প্রতিনিধি :রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বিদ্যুৎ শর্টর্সাকিটের আগুনে পুড়ে ছায় বসত বাড়ি, মুদি-দোকান, গবাদীপশুসহ নগদ অর্থসহ বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রীও আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে। পরিবারের দাবি প্রায় ৩লক্ষ টাকার সমমান অর্থ তাদের ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার সময় বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিটের আগুনে প্রায় ৬৫% পুড়ে গেছে উপজেলা ৪নং নীমপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের পাইটখালি গ্রামের প্রতিবন্ধী কাবিল হোসেন(৪০) ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম (৩৫)। ওই সময় তাদের মুদিদোকান, গোয়ালে থাকা ৩টি ছাগল, হাসঁ ও মুরগী পুড়ে ছাঁয় হয়েগেছে।
এই ঘটনার অনুসন্ধানে জানাযায়, ভুক্তভোগীরা ঘটনার রাতে তাদের শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ কখন আগুনে তাদের সর্বস্য পুড়ে ছাঁয় হয়েগেছে তারা কেউ জানতেই পারে নি। আগুনে যখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ের শরীর দগ্ধ হয় তখন তাদের চিৎকার চেচামেচিতে আশে পাশের প্রতিবেশিদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিন্ত ওই সময়ে তাদের কিছু অবশিষ্ট ছিলনা। তবে কাবিল ও শিরিনাকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কা দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমান তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পরিবারের ছোট ভাই জনি আলম।
প্রাথমিক পর্যায়ে আগুনের সূত্রপাত কেউ বলতে পারে নি। পক্ষান্তরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। কিন্ত ততখনে ভুক্তভোগীদের কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে জানতে পারা যায় শর্ট র্সাকিটে আগুনে তাদের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প উন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে ঢেউটিন এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানান প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটনাগুলো অনেক ভাবিয়ে তুলে। ঘটে যাওয়া ঘটনাকে বদলানো যাবে না। তবে সচেতনতা থাকা সকলের জন্য অত্যাবশ্যক। বিদ্যুৎ জনিত কারনে ঘটনার ফলাফল অনেক ভয়াবহ হয়ে থাকে। উপজেলার ওই পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে যা বর্তমান পরিস্থিতি তার প্রমান বহন করছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে প্রাপ্তি বরাদ্দকৃত অনুদান তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।