বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, English Version

শার্শায় সেচ লাইসেন্স দেওয়ার নামে চলছে রমরমা অর্থ বানিজ্য

শার্শায় সেচ লাইসেন্স দেওয়ার নামে চলছে রমরমা অর্থ বানিজ্য

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শায় সেচ লাইসেন্স দেওয়ার নামে চলছে রমরমা অর্থ বানিজ্য। দীর্ঘ ১৬ বছর আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধরি মাছ না ছুই পানির মতই স্পর্সকাতর কাজগুলি করে আসছেন। একাজ গুলির মুল ধারায় রয়েছে বিএডিসি শার্শা অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ ও তুহিন নামের দূ-কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসের শাকাওয়াত হোসেন। ঐ তিন জনের যৌথ সমন্বয়ে চলছে শার্শা সেচ লাইসেন্সর যৌথ অর্থ বানিজ্য। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে একাধিক চিহ্নিত দালাল। দালালদের মাধ্যমেই চুক্তি অতপর সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় লাইসেন্স গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচের অর্থ। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভূগর্ভস্ত পানি ব্যবস্তাপনা আইন ২০১৯ বিধিমালা না মেনে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ফুট থেকে ২৩০ ফুটের মধ্যে শত শত লাইসেন্স প্রদান করেছেন বিএডিসি সেচ কর্তৃপক্ষ। একাধিক অভিযোগে প্রকাশ ৫ইং আগষ্টের গণঅভুথ্যানের পূর্বে যে সমস্ত সংযোগ গুলি হয়েছে ২/১ টি বাদে প্রতিটি সংযোগই আইন বর্হিভূর্ত ভাবে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে আয় করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। কৃষকদের কষ্টার্জিত অর্থ এভাবেই লাইসেন্স প্রদানের কথা বলে দালালদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ আদায় করছে ঐ তিন কর্মকর্তা। এক লিখিত অভিযোগে জানা যায় সরকারী বিধি অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয় নির্বাহী প্রকৌশলী বিএডিসি যশোর রিজিওনকে শার্শার ধলদা গ্রামের মৃত শাহাদৎ মোল­ার পুত্র নুর মোহাম্মদ মোল­া অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন তার নিজের একটি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ চলমান আছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ রহিম বক্স ৮০০ ফুট দূরে সেচ লাইসেন্স নেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। তাছাড়া ঐ ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সেচ লাইসেন্স নেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে আব্দুর রহিম ও আব্দুর রাজ্জাক দুজনেই মোটা অংকের বিনিময়ে সেচ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। অভিযোগ কারি নুর মোহাম্মাদ মোল­া এ প্রতিনিধির এক স্বাক্সতকারে জানান স¤প্রতি গত ২৮/০২/২৪ ইং তারিখে আমি আইন গত ভাবে ও সরকারী বিধি মোতাবেক সেচ লাইসেন্স গ্রহন করি যাহার নং ৩০/২০২৪। অথচ রহিম বক্স ও আব্দুর রাজ্জাক ভুগর্ভস্ত পানি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৯ বিধি মালার আলোকে সেচ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতাই রাখে না। কিন্তু বিএডিসি সেচ শার্শা অফিসের দূ- কর্মকর্তা তাদের কে সেচ লাইসেন্স দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান উপজেলা সেচ কমিটিকে বিতর্কিত করার জন্য বিএডিসি সেচ শার্শা ও পল­ী বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত কতিপয় দালালের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে সেচ লাইসন্সে গ্রাহকদের কাছ থেকে। এ ব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক স্বাক্ষাত কারে জানান অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

১৭৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares