শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রাম থেকেই রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিবেন ৪০সহস্রাধিক নেতাকর্মী

কুড়িগ্রাম থেকেই রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিবেন ৪০সহস্রাধিক নেতাকর্মী

সাইয়েদ বাবু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি- রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর বিভাগীয় সমাবেশে কুড়িগ্রাম থেকে যোগ দিবেন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলা ৩ পৌরসভা ও ৭৩ ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা রংপুরে জনসভায় যোগ দিবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা গেছে, এই জনসভাকে সফল করার জন্য কুড়িগ্রাম থেকে নেতাকর্মী যাতায়াতের জন্য মিনিবাস ২০০টি নাইটকোস ১০০টি, ট্রাক ১০০টি, ৫ শতাধিক প্রাইভেটকার-মাইক্রো, সিএনজি-অটো ১ হাজার, মোটরসাইকেল ৩ হাজার ও দুটি ট্রেন যোগে যাবেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও কয়েক হাজার নেতাকর্মী ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপায়ে রংপুরে পৌঁছে গেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খ ম আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে কুড়িগ্রামের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে জনসভায় যাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইতে হয় না, তবুও কুড়িগ্রাম বাসির দাবি মেডিকেল কলেজ, কর্মসংস্থানের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল। পাশাপাশি ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা করার দাবি কুড়িগ্রাম বাসির।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ একযুগ পর রংপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসায়। নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাকে বরণ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। কুড়িগ্রাম তথা রংপুর বিভাগের যে উন্নয়ন করেছেন, তাঁর কাছে আর আমাদের তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই। রংপুর অঞ্চলে কি করতে হবে তা তাঁর ভালোভাবে জানা রয়েছে। তবে এখানকার তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষের প্রত্যাশা তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনার ঘোষণা দিবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ৫০ হাজার নেতাকর্মী কুড়িগ্রাম থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ৪০ হাজার নেতাকর্মীর যাতায়াতের জন্য যানবাহন নিশ্চিত করেছি। আসা করি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিয়ে জনসমুদ্রে পরিনত করবে ইনশাআল্লাহ। জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করায় শহর এবং নেতাকর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তোরণ ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা জেলা।

১৭১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares