বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নাটোরে দোকান থেকে তুলে হাসপাতাল চত্বরে এনে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নাটোরে দোকান থেকে তুলে হাসপাতাল চত্বরে এনে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ইসাহাক আলী, নাটোর, ২৮ জুলাই – দোকান থেকে তুলে হাসপাতাল চত্বরে এনে নাটোরে রুবেল হোসেন(২৮) নামে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রুবেল নাটোর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। তিনি নাটোর রেলস্টেশন কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী। প্রতিপক্ষের কর্মীরা তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতের অভিযোগ সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার বিকালে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় রামেকে নেয়ার পূর্বে রুবেল সাংবাদিকদের জানান, বিকেলে তিনি রেলস্টেশন কাঁচাবাজারে নিজ সবজির দোকানে কেনাবেঁচা করছিলেন। এ সময় এমপি শিমুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হামিদ ও রাব্বি তার কাছে এসে জানায় সজীব নামের আরেকজন তার সাথে কথা বলবে। এ কথা শুনে দোকান থেকে উঠে রাস্তায় এলে একটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নাটোর সদর হাসপাতালের সামনে আনা হয়। সেখানে থাকা সোহান বলে ‘তুই জীবনের সাথে থাকিস, তোর বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান তোকে বাঁচাতে পারবে না। এই বলে রাব্বি, সোহান, সজীবসহ আরো কয়েকজন পর্যায়ক্রমে তাকে কোপাতে থাকে। কে, কোন দিক থেকে কুপিয়েছে তা আর বুঝতে পারিনি।
রুবেল আরো বলেন, রাব্বি , সোহানসহ অন্যরা তার দুই হাত কেটে দিতে উদ্যত হন। এ সময় আশেপাশে লোকজন ভিড়ে গেলে তারা সেখান থেকে সরে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফ আলী সম্রাট বলেন, রুবেলের পিঠে আঘাত করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব বলেন, রুবেল যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। সে রাজনীতির পাশাপাশি সবজির ব্যবসা করে। নিরীহ এই কর্মীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান। এ সময় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিনি বলেন, মাদক সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত চিহ্নিত সেসব সন্ত্রাসীরাই এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছে।
 নাটোর সদর থানার ওসি অপসারণ না হলে শহরে এ ধরনের অপকর্ম ঘটতেই থাকবে, কারণ মাদক থেকে শুরু করে অপরাধীদের সাথে ওসি সহ পুলিশের অনেকের সখ্যতা রয়েছে । অবিলম্বে তিনি এই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
৩৪৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares