মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মির্জা ফখরুল বুদ্ধপূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানালেন

মির্জা ফখরুল বুদ্ধপূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানালেন

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আaন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণ কামনা করে বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি তার অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানব কল্যাণে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার।

ফখরুল বলেন, আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব রক্তাক্ত, হানাহানি ও সংঘাত-সংঘর্ষে মানব জাঁতি ক্ষতবিক্ষত। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবপ্রেম সব ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজও বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।

‘তাই তিনি ধর্ম প্রচারের প্রথমেই পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘যেই ধর্ম আদিতে, মধ্যে এবং অন্তে কল্যাণ সাধিত হয় সেই কল্যাণকর ধর্ম চতুর্দিকে প্রচার কর।’ এ বাণীর আবেদন হলো-সব ধরনের হিংসা-বৈরিতা ও ভেদাভেদ পরিহারপূর্বক সুন্দর ও সুখকর মানবসমাজ প্রতিষ্ঠা করা।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত অপরিহনীয় ধর্ম প্রচার করেছিলেন।

মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সব স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ, যে সমাজে কোনো হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো সংঘাত-সহিংসতা। তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন। বর্তমানে করোনা মহামারির করাল গ্রাসে মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে মহামানব গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদেরকে সামনের সুদিনের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগাবে।

৮৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS