সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোরেলগঞ্জে তীব্র বৃষ্টিতেও জমজমাট শেষ মূহুর্তের পশুর হাট  

মোরেলগঞ্জে তীব্র বৃষ্টিতেও জমজমাট শেষ মূহুর্তের পশুর হাট  

 মোরেলগঞ্জ ( বাগেরহাট) থেকেঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তীব্র বৃষ্টিতেও জমজমাট  ছিল শেষ মূহুর্তের পশুর হাট। বুধবার সকাল থেকেই উপজেলার ছোলমবাড়িয়া বাসষ্টান্ড সংলগ্ন বালুর মাঠ ও দৈবজ্ঞহাটি হাইস্কুল মাঠে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়।মোরেলগঞ্জ ছোলমবাড়িয়া বাসষ্টান্ড থেকে সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে বসেছে এ হাট।ঈদের আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকি থাকায় বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও যেন থেমে ছিল না পশু কেনা বেচা। এসব হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে খামারি, ক্রেতা-বিক্রেতারা  হাটে এসেছেন পশু কেনা বেচার জন্য। বিভিন্ন  উপজেলা থেকে খামারীসহ বেপারিরা নিয়ে এসেছেন দেশি,  পাকিস্তানি,  ফ্রিজিয়ান সহ বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত গরু। পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও বেপারি এসেছেন এ হাটে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে দাম বৃদ্ধি বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ পরিবহন খরচ বেশি থাকায় পশুর দাম তুলনামূলক একটু বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খামারি ও বেপারিরা। এদিকে থেমে থেমে তীব্র বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যাবসায়ীরা। তীব্র বৃষ্টিতে বাজার মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তৈরি হয় এক অস্বাভাবিক অবস্থার। হাটে পশু কিনতে এসে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মোঃ আফজাল মিয়া বলেন, তীব্র বৃষ্টিতে শেষ মূহুর্তের হাটে পশু কিনতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে এক নাজেহাল অবস্থা আমাদের। তবে এবার হাটে দেশীয় বিভিন্ন উন্নত জাতের গরুসহ,ছাগল,ভেড়া ও মহিষও লক্ষ করা গেছে, আশা করি আমাদের বাজেটের মধ্যেই কোরবানির পশু কিনতে পারব।
এদিকে ছোট বাদুড়া থেকে আসা মোঃ সোহেল তার নিজস্ব ফার্মের ১৬ টি গরু এ হাটে নিয়ে এসেছেন এর মধ্যে লাল পাহাড়ের দাম হাকাচ্ছেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোরেলগঞ্জের মোশাররফ মিয়া ফ্রিজিয়ান ১টি গরুর দাম চেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার,ভাটখালীর মাসুম বিল্লাহ পাকিস্তানি সিংহি জাতের ২টি গরুর দাম চেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ক্রেতারা দাম বলেছেন আড়াই লাখ। তবে গেল বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন খামারে পশুর রোগ দেখা দেওয়ায় ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন অনেক খামারী। তারা বলেছেন,আজকে একাধিক গরু বিক্রি করতে হবে আমাদের, তা হলেই বিগত লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন এ বেপারীরা।
এ বিষয়ে দৈবজ্ঞহাটি বাজারের ইজারাদার মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে সার্বক্ষনিক মাঠে রাখা হয়েছে পুলিশের টিম, গ্রামপুলিশ, বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রনাধীন স্বেচ্ছাসেবক দল। বাজার সভাপতি ৪নং দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শামসু মল্লিক বলেন, মোরেলগঞ্জে বালুর মাঠ এবং কালিকাবাড়ী, দৈবজ্ঞহাটি পশুরহাট এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে গরু ক্রয় বিক্রয়  করতে হাজার হাজার লোক আসেন। অন্য হাটের চেয়ে এ হাটগুলোতে খাজনা কম রাখেন আদায়কারীরা। নিরাপত্তারও বিশেষ ব্যবস্থা থাকে প্রতি বছর।
২৪৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares