শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
র্দীঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকার পরও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষক অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

র্দীঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকার পরও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষক অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোণা :; জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে র্দীঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকার পরও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষক আব্দুল হামিদের (৪০)।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস অভিযানিক দল ৩০ মে রাত সোয়া ১০টার দিকে চাঞ্চল্যকর নেত্রকোণার অপহরণসহ শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল হামিদকে ময়মনসিংহ কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব-১৪ এর সিনিয়র এ এস পি সবুজ রানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের পুত্র আঃ হামিদ একই গ্রামের ভিকটিমের বড় বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক বছর পর হামিদ তার শ্যালিকা রোজিনা বেগমকে ২০০৩ সালের ৪ আগষ্ট স্কুল থেকে বাড়ীতে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়ীতে উঠিয়ে অপহরণ করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে তিন দিন আটক রেখে ভিকটিমকে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে হামিদ বাড়ীতে চলে আসে।

পরবর্তীতে ভিকটিম রুজিনা স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তার বাড়ীতে এসে পরিবারের লোকজনকে বড় বোন জামাই কর্তৃক অপহৃত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার একটি অজ্ঞাত বাড়ীতে তিন দিন আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্যালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘটনায় জামাতা আব্দুল হামিদকে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল হামিদ বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। আসামী হামিদ তার আসল নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয় পত্রে ছদ্মনাম ধারন করে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।

অপরদিকে নেত্রকোণা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১২ সালে আসামী আঃ হামিদ (৪০) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩ এর ৯ (১) ধারার ধর্ষনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পলাতক আসামী আঃ হামিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপহরণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অতিরিক্ত আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

ঘটনার ২০ বছর পর অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ এর অভিযাত্রিক দল ৩০ মে রাত সোয়া ১০টার দিকে চাঞ্চল্যকর নেত্রকোণার অপহরণসহ শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল হামিদকে ময়মনসিংহ কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী হামিদকে আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করেছে।

২৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS