শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রামে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যু বার্ষিকী পৃথকভাবে পালিত

কুড়িগ্রামে জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যু বার্ষিকী পৃথকভাবে পালিত

এসএবাবু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে কুড়িগ্রাম বিএনপির দু’গ্রুপ পৃথকভাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

৩০শে মে সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়াস্থ জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা গ্রুপ কর্মসূচি পালন করে। অপরদিকে শহরতলির আমিন মোক্তারপাড়াস্থ কার্যালয়ে সভাপতি তাসভির-ইসলাম গ্রুপ আলোচনা সভা ও দোয়া মাফিলের আয়োজন করে। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতেও দু’গ্রুপ পৃথক কর্মসূচি পালন করায় নেতা-কর্মীরা হতাশ, এবং বিব্রতবোধ করেন।

দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির গ্রুপিং এর কারণে সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই নড়েবড়ে। এরই মধ্যে গত ১৯ শে মে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের আগমনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদের কড়া নির্দেশনায় দু’গ্রুপ যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু ১১ দিনের মাথায় আজকের কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করায় নেতাকর্মীরা আবারও বিব্রত হয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু দারদা হেলাল বলেন চলমান কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির এই গ্রুপিং নিরসন হওয়া অত্যন্ত জরুরি, এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীর গণআন্দোলনে কুড়িগ্রাম জেলায় বিএনপি শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে হয় না। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ উমর ফারুক বলেন ১৯ তারিখ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী একত্রে পালন করতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের বিশেষ নির্দেশনায় পালন করতে পারলেও ১১ দিনের মাথায় আবারও আলাদা পালন করা দুঃখজনক এব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ড এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃমোস্তাফিজার রহমান জানান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি দীর্ঘদিনের জিইয়ে থাকা গ্রুপিংয়ের কারণে সাংগঠনিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল। গত ১৯শে মে কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব,রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নির্দেশনা মেনে যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করি।কিন্তু আজকের প্রোগ্রাম পৃথকভাবে আহ্বান করায় নেতা কর্মিরা বিব্রত, আগামীতে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সেই আন্দোলন কুড়িগ্রামে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই দলের বৃহৎ স্বার্থে কুড়িগ্রামের গ্রুপিং নিরসন জরুরি,এজন্য কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন, আমি দলে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে পূর্বের মতো প্রতিটি কর্মসূচি পুঃপোস্ট অফিস পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে পালন করে আসছি, এখানে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মিদের অংশ গ্রহন আছে , এবং এই পার্টি অফিসে কেন্দ্রীয় নেতারা ও এসেছেন। দলের সকল স্তরের নেতা কর্মিদের জন্য এই অফিস সবসময় খোলা আছে, দলের এই দুঃসময়ে সকলকেই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালনের আহবান জানাই। এব্যাপারে সভাপতি তাসভীর উল ইসলামের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননাই। উল্লেখ্য তিনি কুড়িগ্রামের কর্মসূচিতে তেমন একটা উপস্থিত থাকেননা ।

২০০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares