মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কুড়িগ্রাম জেলার হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে শ্রম আইন মানা হচ্ছে না দাবি শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ।

কুড়িগ্রাম জেলার হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে শ্রম আইন মানা হচ্ছে না দাবি শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ।

রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদ দাতা ।কুড়িগ্রাম জেলার অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে শ্রম আইন মানা হচ্ছে না বলে দাবি করেছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ।
 কুড়িগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড  রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবির প্রেক্ষিতে সরজমিন ঘুরে জানা যায় , প্রতিবছর মুসলমানদের সর্ববৃহৎ দুটি উৎসব  পবিত্র মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর  এবং আত্মত্যাগের ঈদ উৎসব ঈদ উল আযহা। মুসলমানদের দুটি ঈদ উৎসব এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গোৎসবে কুড়িগ্রাম জেলার হোটেল ও রেস্তোরা শ্রমিকরা  হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম আর খাটুনিতে সৃষ্ঠ মুনাফায় মালিকশ্রেণি মহাধুমধামে ঈদ উদযাপন করলেও শ্রমিকদের ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ।  ঈদের সময় অধিকাংশ হোটেল- রেস্টুরেন্টের শ্রমিকদের উৎসব বোনাস প্রদান  করা হয় না ।  বছরে দুই বার এক মাস সমপরিমান টাকা যা বেতন ভাতার দ্বিগুণ উৎসব ভাতা প্রদান করার দাবি হোটেল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের । দেশের প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক উৎসব বোনাস শ্রমিকের আইনগত ও ন্যায্য অধিকার। এমন কি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকার এর দিক থেকেও হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হয় অমানবিক ভাবে।
শুধু তাই নয় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধারায় সার্ভিস বই, ২ (১০) ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রাচ্যুয়েটি, ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক  ছুটি ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা  সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থতার ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি  ও উৎসব বোনাস প্রদানের আইন থাকলেও কুড়িগ্রাম জেলায়  হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছে কুড়িগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ।
 এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক অর্থ সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক  জানান ,
 মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদ উল ফিতর   উপলক্ষে প্রত্যেক হোটেল শ্রমিকের জন্য এক মাসের বেতনের           সমপরিমান উৎসব বোনাস সহ ছুটি প্রদানের জন্য সবিনয় দাবি জানাচ্ছি প্রত্যেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকপক্ষের নিকট । আমরা সমৃদ্ধ , স্বনির্ভর বাংলাদেশ চাই,  ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ এবং দূর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ এক সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি । আমরা   চিন্তা, চেতনা, কর্ম ও সাধনা জুড়ে জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি চাই  । শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করি ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ  সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম   জানান ,
দেশের প্রচলিত শ্রমআইন মোতাবেক উৎসব বোনাস শ্রমিকের আইনগত ও ন্যায্য অধিকার। এমন কি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকার এর দিক থেকেও হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হয় অমানবিক ভাবে।
কুড়িগ্রাম জেলার সকল হোটেল ও রেস্তোরা মালিকদের নিকট  বিনীত নিবেদন আপনাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক ও তাদের পরিবারের দিকটি বিবেচনা করে  মানবিক সহযোগিতার মাধ্যমে কর্মরত সকল শ্রমিকদের উৎসব ভাতা প্রদান করা হোক ।
১২৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares