শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কক্সবাজারে মাদক মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজারে মাদক মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

কায়সার হামিদ মানিক,স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার। কক্সবাজারে মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজার আদেশও দেওয়া হয়।
সোমবার (২২ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালত এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া এলাকার মো. মহরম আলী, একই ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গারপাড়ার মো. আমান উল্লাহ, চান্দলীপাড়ার আব্দুল মুনাফ ও একই এলাকার মো. জাহিদ হোসেন এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবিরপাড়ার নুর আলম ও একই এলাকার আব্দুর শুক্কুর।
এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা নাগরিক আব্দুল পেডাম উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এইচ-২৪ ব্লকের বাসিন্দা।
কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম আদালতের এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার নথির বরাতে ফরিদুল বলেন, ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া বড় ডেইল উপকূলবর্তী সাগরপথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় কোস্ট গার্ড। পরে কোস্ট গার্ডের একটি দল সাগরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে ট্রলারে থাকা লোকজন দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ‘চাঁদনী’ নামের ট্রলারটি জব্দ করে। পরে ট্রলারে থাকা ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ট্রলারটিতে বিশেষ কৌশলে রাখা দুটি বস্তার ভেতরে পাওয়া যায় ৫ লাখ ইয়াবা।
এ ঘটনায় পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর কোস্ট গার্ডের এক সদস্য বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা করেন। পরে ওই বছর ২৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর গত ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, সোমবার মামলার রায় ঘোষণা পূর্বনির্ধারিত দিন ছিল। সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আনা হয়। পরে আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের পর দুপুরে বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এ ছাড়া দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৮৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares