শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নীলফামারীতে শিশু হত্যার অভিযোগে  গ্রেপ্তার বাবা।

নীলফামারীতে শিশু হত্যার অভিযোগে  গ্রেপ্তার বাবা।

মাহমুদ হাচান,নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে  নিজ শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে  হত্যার অভিযোগে   গ্রেপ্তার   হলো বাবা । আজ শনিবার  সকালে   নীলফামারী পৌরসভার   দক্ষিণ হাড়োয়ার একটি ভাড়াবাসা থেকে  আটক করে পুলিশ ।  নিহত শিশু  ঘাতক বাবা  মোহাম্মদ  জাকারিয়া শেখ  ( ৬৫)  এর  শিশু  মোহাম্মদ  ইয়াহিয়া খান আপন (৪)।  নিহত আপনের বাবা সৈয়দপুরের সোনাখুলী মুন্সি পাড়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক  ও নীলফামারী সদর উপজেলা  চড়াইখোলা ইউনিয়নের টেক্সটাইল   এলাকার শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দা।  এবিষয়ে  নিয়ে সরজমিনে গিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান    জাকারিয়ার প্রথম  স্ত্রী  ২ বছর আগে মারা যাওয়ায়  সে দ্বিতীয় করেন   এবং  ৪ মাস আগে  তাদের পরিবারের  মাঝে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে  । তবে কিছু দিন ধরে  শিশু টি অসুস্থ থাকায় রাতে প্রচন্ড  কান্নাকাটি করতো  ।  তবে গতরাতে  শিশুটি বেশি অসুস্থ হলে  শিশুটি প্রচন্ড কান্নাকাটি শুরু করে  এবং  এক পর্যায়ে জাকারিয়া  বিরক্ত হয়ে  শিশুটির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে  হত্যা করে ।
এবিষয়ে নিহত  শিশু আপনের মা আয়েশা সিদ্দিকা মমতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন   আমার বাপজান  ৪/৫ দিন ধরে  অসুস্থ ছিলেন   এজন্য সে কান্নাকাটি করতো  একটু বেশি  । তার বাবা মানে আমার স্বামী   আমার বাপজানের কান্না সহ্য করতে  না পেরে মুখে  বালিশ চাপা দেয়  এবং  আমি ওনাকে আটকাতে গেলে ওনি আমাকে ও প্রচন্ড মারধর করে।  এদিকে ঢাকায় অবস্থান রত জাকারিয়ার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা খাতুনের  সাথে  মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন   গত সপ্তাহে  বাবা তার চিকিৎসার জন্য  আমার কাছে ছিলেন  তিনি আমার দ্বিতীয় মায়ের  হাতে অমানবিক  ও৷ শারীরিক  নির্যাতনের  শিকার  হতো তার শরীরে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন আছে  এক  কথায় বলা যায়  আমার বাবা আমার দ্বিতীয়  মায়ের   হাতে  নির্যাতেন দ্বারা   মানসিক  ভারসাম্য  রোগীই বলা যায় ।
এদিকে নীলফামারী পুলিশ  সুপার  ( এসপি)  মোহাম্মদ  মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার  সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন   শিশুএিকে তার বাবা হত্যা করেছে  বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।  এবং  শিশুটির বাবা মোহাম্মদ  জাকারিয়া কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা  হয়েছে  এবং  শিশুটির   লাশ  উদ্ধার করে  জেলা হাসপাতালের  মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
১৭৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares