শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন কাটা ও মাড়াই শুরু

বিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন কাটা ও মাড়াই শুরু

সংবাদদাতা, বিরামপুর, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। যেসব ক্ষেতের ধান তুলনামূলক বেশি পেকেছে সেইসব ক্ষেতের ধান আগে কাটছেন চাষিরা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করায় এবার শ্রমিক সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস। উপজেলার খয়েরপাড়া গ্রামের বোরো চাষি মামুনুর রশিদ বলেন, এবার বোরো মৌসুমে আমি প্রায় ২০বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। এর মধ্যে ৫ বিঘা জমির ধানে পাক ধরেছে। শনিবার সকাল থেকে মাঠে ধান কাটার শ্রমিক লাগানো হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবছর ধানের ফলন ভালো। তিনি আরও বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আমার সব ক্ষেতের ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে। আশা করছি প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৫ থেকে ২৬ মণ করে ধান ঘরে তুলতে পারব। বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন চাষি বিরামপুর উপজেলার ছোট মানুষমুড়া গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, “মুই এইবার ৩ বিঘা জমিত ইরি ধান লাগাইছু। মাঠত সবার চাই মোর ধান ভালো হয়ছে। একবেলা খাওয়ায়ে দুই জনক সাড়ে ৫০০ টাকার হাজরা নিয়ে মুই ধান কাটবা লাগিছু। আল্লা দিলে ভালোই ধান ঘরত তুলমু এবার।” নীলফামারীর জলঢাকা থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক সরদার নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর আমরা বিরামপুরে ধান কাটতে আসি। এইবারও ২২ জন মিলে বিরামপুরের উত্তর কাদিপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের প্রায় ২৬ বিঘা জমির ধান কাটার চুক্তি নিয়েছি। সাড়ে ৩ হাজার টাকা প্রতি বিঘা তিনি দিতে চেয়েছেন। তবে আমরা একটু বাড়িয়ে দিতে বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন কাজ শেষে কিছু বাড়িয়ে দেবেন। তিনি আরও বলেন, ২২ জন সদস্য মিলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করে গৃহস্থের ঘরে তুলে দিতে পারি। এতে করে খেয়ে-দেয়ে প্রত্যেকেই প্রতি দিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পাই। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, উপজেলার বেশির ভাগ মাঠে ধান কাটা শুরু করেছেন বোরো চাষিরা। এবার উপজেলায় ১৫ হাজার ২১৫হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এবার উপজেলায় ৯৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধান ক্ষেতে কোন ধানের রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয়নি। ধানক্ষেতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিনের মাধ্যমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এতে করে শ্রমিক সংকট হবে না এবং অল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময়ে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

৯০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares