বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী

আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা বেনাপোল,যেখানে সীমানা জটিলতার মামলার অজুহাতে বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৮ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন ২০২২ এর ধারা ৪ অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ বেনাপোল পৌর পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত মেয়রের মেয়াদ পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই পৌরসভার মেয়র পদ বিলুপ্ত হবে। সেখানে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের জন্য সরকার মনোনীত প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে। তবে একজন প্রশাসক কোনোক্রমেই একসঙ্গে ১৮০ দিনের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একজন প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদ শেষ হলে সেখানে অন্য আরেক জনকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে,অথচ নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আইনে সুস্পষ্টভাবে উলে­খ আছে মামলা-মোকদ্দমা যাই থাকুক, তা নির্বাচনের পক্ষে বাধা হবে না। পর পর দুইজন প্রশাসক নিয়োগের পর ১১ মাস পার হলেও নেই কোন নির্বাচনের তোড়জোড়।যেখানে সংশোধিত সংবিধানে বলা হয়েছিলো প্রশাসক নিয়োগের ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা। অথচ ভোট না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বেনাপোলকে পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করে। ২০০৬ সাল থেকে প্রশাসক নিয়োগে চলে পৌরসভা।২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারী বেনাপোল পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম লিটন। ৫ বছর পর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়। এ সময় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সীমানা জটিলতায় আদালতে মামলা থাকায় আটকে যায় নির্বাচন। মেয়র লিটন একটানা ক্ষমতায় থেকে যান ১২বছর। শার্শার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ফারজানা ইসলামকে পৌর প্রশাসক হিসেবে এখন দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন,বেনাপোল পৌরসভার সীমানা জটিলতার মামলা থাকার কারণে দীর্ঘদিন নির্বাচন সম্ভব হয়নি।এরপর ২০২২ সালের ৫ মে বেনাপোল পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাতে অবশ্য নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন পত্র আমি এখনও পাইনি। বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘদিন ভোট হচ্ছে না, একই সমস্যা বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার আশা পোষণ করেন এমন নেতাকর্মীরা ভোট না হওয়ায় হতাশ। দীর্ঘদিন পৌরসভার নির্বাচন না হওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাঙ্খিত উন্নয়ন সেবা থেকে বঞ্চিত নাগরিক সমাজ। পৌরসভার সাধারন ভোটারদের দাবি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।

১০৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares