শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোলডিং ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও

হোলডিং ট্যাক্সের নামে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও

এস,এ,বাবু, কুড়গ্রিাম , প্রতনিধি ০৩-০৪-২৩ : হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে জোর করে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে উপস্থিত লোকজনের সামনে ট্যাক্স আদায়কারীকে চর-থাপ্পর দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। যদিও অভিযুক্তদের দাবী চেয়ারম্যানের নির্দেশে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। ট্যাক্স আদায়কারী জনতার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদে, রোববার দুপুর ১২টার দিকে। ঘটনার পর থেকে ট্যাক্স আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রৌমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন ৭ সাত ব্যক্তি। ইউনিয়নগুলোতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের বসত ঘর অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করছেন সুপারভাইজার তারিকুল ইসলাম ও মাঠকর্মী বিশাল মিয়া এবং আব্দুর রহিম।

কিন্তু আদায়কারীদের বির“দ্ধে নির্ধারিত ট্যাক্সের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলে রোববার বেলা ১২টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সরকার জনতার সামনে ট্যাক্স আদায়কারী বিশাল মিয়াকে চরথাপ্পর দিয়ে জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব ও আদায়কারীদের বির“দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন চেয়ারম্যান।

খঞ্জনমারা গ্রামের সাইদুর রহমান বলেন, আমার ছোট ছোট চারটি ঘরের ৫শ ২০ টাকা চকিদারি (হোল্ডিং) ট্যাক্স নিছে। না দিলে পুলিশের ভয় দেখায় ওরা। এমনি জিনিসপত্রের যে দাম বাচিনা এর উপর চকিদারি ট্যাক্স দিতে কষ্ট হচ্ছে। ফির বেশি টাকা নেয়। হার“ন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দুটি ভাঙাচুড়া ঘরের ৩০০ টাকা ট্যাক্স নিলো। পরে পরিষদ আসি শুনি আমার ট্যাক্স ১৪০ টাকা।

হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়কারী এর আগে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। অবস্থার বেগতিক দেখে ট্যাক্স আদায়কারীকে চরথাপ্পর ও কিলঘুষি মারেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সরকার। পাশাপাশি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শতশত মানুষের সামনে দু’ হাত তুলে ক্ষমা চান অভিযুক্ত বিশাল মিয়া। ট্যাক্স আদায়কারী সুপারভাইজার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে সামান্য কিছু অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে মাঠকর্মিরা। এ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। চেয়ারম্যান অন্যায়ভাবে কর্মচারিকে চরথাপ্পর দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন ইউপি সচিব আমিনুল ইসলাম, তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা চেয়ারম্যান জানেন।

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও এর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ট্যাক্সের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ নিয়ে লোকজন আসলে তাদের শান্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আদায়কারী ও ইউপি সচিবের বির“দ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁর নির্দেশে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে কিনা? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, নিধার্রিত ফি আদায় করতে বলা হয়েছে ।

রৌমারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএস সারোয়ার রাব্বী জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এর প্রায় দু’মাস আগে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগে আদায়কারীদের চরথাপ্পর দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই ইউনিয়নে ট্যাক্স আদায় বন্ধ র

৯২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares