সোমবার- ৩রা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোর মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের ভ্রমন বিলাস মিশ্রপ্রতিক্রিয়া

তানোর মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের ভ্রমন বিলাস মিশ্রপ্রতিক্রিয়া

তানোর প্রতিনিধি: বিগত ও চলতি বছরে বেতন পাননি মুন্ডুমালা পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা, অথচ মেয়র সাইদুরের পছন্দের কাউন্সিলরদের নিয়ে ভ্রমন বিলাসের খবরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে  হাইস গাড়ী নিয়ে কয়েক দিনের ভ্রমন বিলাস করছেন  মেয়র সাইদুর। শুধুমাত্র পছন্দের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ভাগ্যে এভ্রমন বিলাস। মেয়রের এমন এক গুয়েমি কান্ডে চরম ক্ষুব্ধ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কারন এর আগেই ভ্রমন হয়েছে সবাইকে নিয়ে। কিন্তু বর্তমান মেয়র কেন এমন সফর করছেন, এর হেতু কি ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন পৌরবাসীর মাঝে বিরাজ মান। বিশ্বব্যাপী মন্দা আর এসময় কিভাবে ভ্রমন বিলাস, দিতে পারেনা বেতন কেন ভ্রমন এসব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছেনা কর্মকর্তা কর্মচারী রা।
এক কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিগত ২০২২ সালে কোন বেতন দেয়নি। বছর ধরে বেতন ভাতা না পেলে সংসার কিভাবে চলবে। যারা বেতন নিয়োমিত পাচ্ছেন তাদের সংসার চলছেনা। কারন নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা কি সবার জানা। বেতনের উপর নির্ভর সংসার। বাজারে বাকি খেতে খেতে খাতায় ধরছেনা। দোকানির সামনে যাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতেও চলে আসছে দোকানিরা। সংসারে প্রতি সময় গোলমাল হতেই আছে। মনে করেছিলাম ২০২৩ সালে হয় তো বেতন পাব। কিন্তু এখনো মিলেনি। ঘরে চাল ডাল নেই, তিন বেলা খাওয়া জুটছেনা। আর মেয়র প্রায় ৮ দিনের ভ্রমন বিলাস করছেন। তিনি যদি একটু চিন্তা করত আমাদের সংসার কিভাবে চলে তাহলে এমন ভ্রমন বিলাস করত না। ভ্রমনের টাকা তো মেয়র ব্যক্তিগত ভাবে দিবে না, পৌরসভার কোন না কোন ফান্ড থেকেই খরচ করবে।অতীতে ভ্রমন হয়েছে সবাই মিলে।কিন্তু ব্যতিক্রম এবারে।
ভ্রমনকারী এক কাউন্সিলরের কাছে টাকার  উৎস কোথায় কি ভাবে ভ্রমন বিলাস জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব মেয়র জানে, আমরা কিছুই বলতে পারব না। ভ্রমনে না যাওয়া আরেক কাউন্সিলর জানান, যেখানে বছর পার হলেও বেতন দিতে পারেনি পৌরসভা। সেখানে ৭-৮ দিনের ভ্রমন কতটা যুক্তিক। সে বিষয়ে মেয়রের ভাবা উচিৎ ছিল। আবার মন্দার সময় এমন বিলাশি ভ্রমন ঠিক হয়নি। আপনি জাননি কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, প্যানেল মেয়র দায়সারা ভাবে বলেছে কিভাবে যাব। ভ্রমনের অর্থ কে দিবে জানতে চাইলে তিনি জানান অর্থের বিষয়ে মেয়র ভালো বলতে পারবেন। কেউ তো ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিয়ে যাবে না। কোন না কোন প্রকল্প থেকেই খরচ দেখানো হবে। কারন পৌরসভা শায়িত্ব শাসিত, খাতা কলমে ঠিক রাখলেই হবে।
পৌর সচিব আবুল হোসেন জানান, আমি ছিলাম না, আজ এসেছি, ভ্রমনের বিষয়ে তেমন ভাবে জানিনা। তবে শুনেছি ব্যক্তিগত ভাবে গেছে। এক কাউন্সিলর বলে। তবে মেয়র সাইদুরকে মোবাইল করা হলে রিসিভ করেননি।
৪১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares