বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দুর্গাপুরে ৪২টি করাতকলের অনুমোদনবিহীন ৩৩টি,প্রশাসনের নজরদারী কামনা সুশীল সমাজের!

দুর্গাপুরে ৪২টি করাতকলের অনুমোদনবিহীন ৩৩টি,প্রশাসনের নজরদারী কামনা সুশীল সমাজের!

কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি :: নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৪২টি করাতকল রয়েছে। বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই অধিকাংশ করাতকল অবৈধভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ৪২টির মধ্যে মাত্র ৯টি করাত কলের অনুমোদন রয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরসভা, কুল্লাগড়া, চন্ডিগড়, বিরিশিরি, বাকলজোড়া, কাকৈরগড়া ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন গুলোতে সব মিলিয়ে করাতকল রয়েছে ৪২টি। তার মধ্যে অনুমোদন আছে মাত্র ৯ টির। বাকি ৩৩টি করাতকলের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে করাতকল মালিকরা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে এসব করাতকল গুলো। ফলে এসব অবৈধ করাতকল গুলোতে ফলদ, বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেড়াই হচ্ছে। গাছের আমদানী বেশী হলে রাতেও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলে কাঠ চেড়াই। বেশকিছু করাতকল গুলো রয়েছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘেঁষে। সড়কের একাংশ দখল করে করাতকলে চেড়াই করতে আনা গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে। যে কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, লাকড়ি কিনতে ও গাছ নামাতে আসা গাড়ীগুলো সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানবহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে বলে জানান পথচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই স’মিল গুলো চলার কারনে মিল গুলোতে চোরাই ভাবে আনা বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছ রয়েছে বলেও জানা গেছে। অনুমোদনহীন এসব স’মিল গুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ছে না।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেওয়ান আলী বলেন, ইতোমধ্যে এসব অবৈধ করাতকলের মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, অচিরেই এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়, বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৫১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares