মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আশুগঞ্জে ভোটারের চেয়ে প্রশাসনিক কর্মর্কতা সংখ্যা বেশি

আশুগঞ্জে ভোটারের চেয়ে প্রশাসনিক কর্মর্কতা সংখ্যা বেশি

মোঃ ফারুক মিয়া আশুগঞ্জ প্রতিনিধি ; নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ১৩২টি কেন্দ্রে একযোগে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরুহয়। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে ফাঁকা কেন্দ্রেই সতর্ক অবস্থানে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটগ্রহণ নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন করতে ১১০০ পুলিশ সদস্য, ১৫৮৪ জন আনসার সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং র্যাবের ১০টি টিম কাজ করছে। এছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় একজন ভোটাকে বলতে শোনা যায়, ভোট দিতে আসলাম, কিন্তু কোনো ভোটার নাই। ভোটারের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা বেশি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকার বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেছেন, আজকে দিনটা মেঘলা। সে কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। আমরা আশা করছি দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন— বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। তবে সাত্তারের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রচারণার কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন তিনি। তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদেকেই ধরা হচ্ছে। তবে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ ‘নিখোঁজ’ আছেন বলে দাবি তার পরিবারের। এখনও পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে গত রবিবার আসিফের স্ত্রী মেহেরুন নিছা এবং বাড়ির কেয়ারটেকারের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা গেছে পূব প্রপ্তিতি নিয়েই স্বেচ্ছায় ‘আত্মগোপন’ করে আছেন তিনি। ঘটনার চারদিন পর আসিফের সন্ধান এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা। উল্লেখ্য, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তারই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে তার পদত্যাগে শূন্য হয় আসনটি। এরপর তিনি আবারও ভোটে দাঁড়ান।

১৬০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares