শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত

শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত

আব্দুল মান্নান ,শার্শা(যশোর) সংবাদদাতা : অবশেষে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শার্শার ৫৫ নং হরিনাপোতা মৌজার সরকারি স্বার্থ যুক্ত সম্পত্তিতে ৪১৯০২১০০০৩৬৯ নম্বর দাখিলার মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থ ক্ষুন্ন করে গুরুত্বর অপরাধ করেছেন।

যাহা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর ২(খ), ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ ও দূনির্তীর সামিল যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান। চাকুরীতে বহাল রাখা রাজস্ব প্রশাসনের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি বিধায় সরকারি কর্মচারি বিধি মালা ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক গত ১৮/০১/২০২৩ ইং তারিখ হতে তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। যার স্মারক নং- ০৫.৪৪.৪১০০.০০৫.১৬.০৭৬.২৩-৮১ (২৫), তারিখ ১৮/০১/২০২৩ ইং। দূর্নিতীবাজ কর্মকর্তা ও লক্ষনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ব্যাক্তি মালিকানায় দাখিলা প্রদানের বিষয়ে একাধিক স্বচিত্র প্রতিবেদন গ্রামের কাগজে প্রকাশের পর উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের বিষয়টি টনক নড়ে।

দীর্ঘ তদন্তের পর ঘটনা সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৮ ই জানুয়ারী দূর্নিতী বাজ কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায় শার্শার ৫৫ নং হরিনাপোতা মৌজার যাহার এস.এ দাগ নং ৪৭৪ আর এস খতিয়ান ৭৭, দাগ নং ২১৩ জমির পরিমান ৩০ শতক। যা সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তি। জমিদারী এ সম্পত্তিটি সরকার মিস কেস যাহার নং-২১/এক্স ১১১/৮৮-৮৯, পি.ও ৯৮/৭২ ধারা সরকারী-১ খতিয়ান ভুক্ত হয়। কিন্তু সরকারী এ সম্পত্তিটির কাগজ পত্র জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে এ উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান সুকৌশলে আবু তাহের ওরফে আবু তালেব নামে একজন মৃত্যু ব্যক্তির(মৃত্যু তাং২/৬/২০১৭ইং) নামে খতিয়ান ভুক্ত করেন এবং গত ১৯/১০/২১ইং তারিখ একটি খাজনার দাখিলা প্রদান করেন। যার দাখিলার ক্রমিক নং ৪১৯০২১০০০৩৬৯। সরকারী এ সম্পত্তিটি শ্রেনী ভুক্তে বাস্তব হলেও দাখিলায় দেখানো হয়েছে কৃষি।

এ দিকে দাখিলা পাওয়ার পর আবু তাহের ওরফে আবু তালেব এর ওয়ারেশ সাহেব আলী দাখিলা সুত্রে পাওয়া এ সম্পত্তি গত ২৬/১০/২১ইং তারিখে একই গ্রামের হাবিবুল্লাহ্র ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নিকট কবলা দলিলের মাধ্যমে সরকারী এ জমিটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। যার দলিল নং- ৮৭৫২ তারিখ ২৬/১০/২০২১ইং এবং দলিলের টোকেন নং- ৮৭৫৪ তারিখ-২৬/১০/২০২১ ইং । এ দিকে লক্ষণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আবেদনের পরিপেক্ষিতে ইতোমধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক সরকারী জমির দাখিলা প্রদানের ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শার্শা উপজেলার ২নং লক্ষনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন বলেন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সত্য। তিনি এখানে অনেক অনিয়ম এবং দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এলাকার জমির মালিকরা তার দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

১৯৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares