সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহিকে নিয়ে সেভেন স্টারের নতুন ষড়যন্ত্র ক্ষুব্ধ তৃনমূল 

মাহিকে নিয়ে সেভেন স্টারের নতুন ষড়যন্ত্র ক্ষুব্ধ তৃনমূল 

তানোর প্রতিনিধি: ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী)। এই আসনে বর্তমান সংসদ তানোরের শহীদ পরিবারে সন্তান সাবেক জেলা সভাপতি, সম্পাদক ও সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী ক্লীন ইমেজের রাজনীতি বিদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। প্রতি নির্বাচনের আগেই সেভেন স্টার নামে পরিচিত রাজনীতিতে একপ্রকার দেওলিয়া হয়ে নিজেরা মাঠে জায়গা না পেয়ে এবার নায়িকা মাহিকে নিয়ে নতুন রুপে যড়যন্ত শুরু করেছেন বলে তৃনমূলের অভিমত। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর শহরে বিজয় দিবসের র্যালি করা হয়। র্যালিতে দুই উপজেলা থেকে সেভেন স্টারের অনুসারীরা অংশ গ্রহন করেন। সভার নেতৃত্ব দেন লক্ষির ভান্ডার হিসেবে খ্যাত কিনারাহীন জেলার সাবেক নেতা আসাদ। তার একান্ত ষড়যন্ত্রের কারনে অন্য জেলার বাসিন্দা হয়েও নাকি এমপি ভোট করবেন। অবশ্য মাহি আরেকটি বিষয়ের জন্য দেশ ব্যাপী পরিচিত, তার ফাঁদে পা দিয়ে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন মুরাদ। মাহি ও মুরাদের অখাহেশ মোবাইল কল রেকর্ড বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সেই মাহি স্বপ্নে বিভর।  এসব নায়িকারা কিভাবে রাজনীতিতে আসতে চায়। আওয়ামীলীগে মনে হয় নেতার অভাব, আসলে সেটা না ফারুক চৌধূরীকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরাতে নানা মূখী যড়যন্ত্র করে আস্তাখুড়ে পড়ে নতুন রুপে নায়িকাকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। এর থেকে প্রমানিত হয় রাজনীতির মাঠে সেভেন স্টারের চরম দেওলিয়া পনার ছবি বের হয়ে আসছে। কারন সেভেন স্টারের অনুসারীরাই মাহিকে নাচাচ্ছেন। যা দলের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন দেখছেন তৃনমুলের নেতাকর্মী রা। বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা জুড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন। এতে করে তৃনমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে আপামর জনতা বর্তমান সংসদ ফারুক চোধূরীর উপরই আস্থাশীল। ফলে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে তাকে সিনেমা করার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল। কারন তানোরের জনসাধারন বেহায়াপনা মানতে নারাজ।
জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার মুন্ডুমালা ফজর আলী মোল্লা কলেজে কাবাডি খেলার আয়োজন করে মাহির পরিচালিত স্বপ্ন ফাউন্ডেশন নামের প্রতিষ্ঠান। মাহির পিতা মাতার বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়। তার নানার বাড়ি মুন্ডুমালায়। নিজ এলাকা বাদ রেখে মাহি কেন এই আসন বেছে নিচ্ছেন। উপজেলায় কি যোগ্য নেতা নেই।  সেলিব্রেটিকে নিয়ে হঠাৎ মেতে উঠেছে কেন সেভেন স্টারের কর্নধর আসাদ রাব্বানীরা। বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেভেন স্টারের অন্যতম নেতা তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী তো এমপি মনোনায়ন পেয়েই গেছে বলে মাঠ করা শুরু করেন। কিন্তু রাব্বানী টিকিট তো দূরে থাক সব হারিয়ে রাজনীতির হিমাগারে রয়েছেন। শুধু লক্ষির ভান্ডারের কুপরামর্শে রাব্বানী রাজনীতির মাঠ থেকে এক প্রকার উধাও। বিদ্রোহী প্রার্থী দের মদদ দেওয়ার কারনে পদ পদবিও হারিয়েছেন তিনি। এমপি হওয়ার খায়েশে মুন্ডুমালা পৌরসভার ভোটও করেন নি। তবে মেয়র হয়েছেন জগ প্রতীক নিয়ে রাব্বানীর একান্ত সহচর নাইট গার্ড সাইদুর।
দলীয় সুত্র জানায়, এই আসনে এমপি ফারুক চৌধূরীর দিক নির্দেশনা  অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ। কিন্তু জেলার সাবেক নেতা সেভেন স্টারের কর্নধর আসাদ বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে গোলাম রাব্বানী ও অবশরপ্রাপ্ত ডিআইজি মতিউর রহমানকে এমপি মনোনায়নের নামে নানা মুখী ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হন। গোলাম রাব্বানীকে রাজনীতি থেকে বিদায়ের মুলেই আসাদ। তিনি তানোর গোদাগাড়ী না রাজশাহীর প্রতিটি আসন নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন। অবশ্য এতে আসাদ লাভবান হলেও অন্যরা প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থ।  পুরুষ নেতাদের দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এবার মহিলাদের নিয়ে নতুন রুপে করছেন খেলা। তার কথায় মহিকে মাঠ করার চেষ্টায় বিভর। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোষ্টার সাটিয়েছেন। কিন্তু তানোর বাসী তার এমন পোষ্টারে চরম ক্ষুব্ধ। কারন নায়িকা থাকবে অভিনয়ের জগতে, সেখানেই তাদের মানান, রাজনীতি অভিনয়ের জায়গা না, এটা মাহিকে বোঝা দরকার। যাদের কথায় তিনি নাচানাচি করছেন তাদের পকেট ঠিকই ভরছে, সিনেমা করে কিছু টাকা হয়েছে, তার গরমেই এসব করছে, সে জেলা উপজেলা কমিটির কেউ না, কি বলে এসব ফাকা আওয়াজ উঠে।
পৌর এলাকার তৃনমুলের কর্মী বিসু, আজিমুল, আজিজুর, ইদ্রিসসহ অনেকে জানান, তাকে সিনেমা টিভির পর্দায় মানায়। আমরা নায়িকা নর্তকিদের রাজনীতিতে দেখতে চায় না। আমাদের অনুরোধ রোষানলে পড়ার আগেই যেন তিনি সম্মানের সহিত চলে যান। তাকে প্রশাসন মূল্যায়ন করলেও আমাদের কাছে তার তিল পরিমান মুল্য নেই। তার বাবার বাড়ি নাচলে, সেখানে রাজনীতি করুক, পাড়া মানেনা আমি মোড়ল। সবকিছুর নষ্টের মুলেই আসাদ রাব্বানী। নিজেরা সবকিছু হারিয়ে তালমাতাল হয়ে পড়েছেন। এমপি ফারুক চৌধূরী তানোরের গর্ব, আমাদের অহংকার।  তারমত যোগ্য নেতা থাকতে এখানে কারো স্থান নেই, হবেও না।
তবে রাজশাহীর বিজয় র্যালি সম্পর্কে সাবেক সভাপতি রাব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আসাদের আয়োজনে র্যালি হয়েছে। মাহি আপনার লোক নিয়ে গেছে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন।
আসাদের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা জানান, এসব বিষয়ে আমাদের ভাবনা চিন্তা নেই, এমপি ফারুক চৌধূরীর বিকল্প নেই। তিনি যত দিন রাজনীতে আছে, তানোর বাসীর তার নেতৃত্বেই থাকবে। রাজনীতি অভিনয়ের মঞ্চ না, যে অভিনয় করে সব হয়ে যাবে, যার যে জায়গা সেখানেই থাকা ভালো বলে মনে করেন নেতারা।
৫৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares