বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে কাপছে নওগাঁর মানুষ, জনজীবন স্থবির

ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে কাপছে নওগাঁর মানুষ, জনজীবন স্থবির

 এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ  : বুধবার থেকে রোববার একটানা ৫ দিন ধরে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় বয়ে চলেছে শীতের তীব্রতা। সেইসাথে উত্তরের বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈতপ্রবাহ চলার কারণে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এজন্য জনজীবনে নেমেছে চরম স্থবিরতা।  হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন একেবারেই কাহিল হয়ে পড়েছে । বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরে থেকে বের হচ্ছেন না।  কাজের জন্য শ্রমিকদের তেমন চাহিদা না থাকায় শ্রমিক শ্রেণীরা পড়েছেন বিপদে। কেউ কেউ কাজ জোগাড় করতে পারলেও অনেকেই রয়ে যাচ্ছেন কাজের বাহিরে। ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে- অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে বাধ্য হচ্ছেন।                                                                                                                  গত ৫ দিন ধরে দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের মুখ, তবে শেষ বিকেলে কিছু কিছু এলাকায় সূর্যের সামান্য দেখা মিলেছে।  ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারনে হাঁড় কাঁপানো তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষসহ, হৃহপালিত পশুপাখি। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এ সময়ে বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়-বৃদ্ধরা। কোল্ড ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট, জ্বর- স্বর্দিকাশি,চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারাসহ অনেক মানুষজন।

 নওগাঁ সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাঃ আবুহেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের চাপ বেড়েছে।। তিনি আরো জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া জাতীয় রোগীদের চাপ বেড়েছে শীতের কারনে। হাসপাতালের ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের কারনে ও তীব্র শীতে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর বের না হওয়ার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা। বিশেষ করে এ তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরী বলেও মনে করেন তিনি।
বদলগাছী আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর রহমান জানান, রোববার সকাল ৯ টায় নওগাঁ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আদ্রতা শতভাগ এবং শনিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বিকেল ৩ টায় ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডার এ প্রকোপ আরো কয়েক দিন থাকতে পারে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS