মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফুলবাড়ীর পল্লীতে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গভীর নলকূপের মালিক ও কৃষককে হয়রানী করছে প্রশাসন দিয়ে

ফুলবাড়ীর পল্লীতে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গভীর নলকূপের মালিক ও কৃষককে হয়রানী করছে প্রশাসন দিয়ে

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ; ফুলবাড়ীর পল্লীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গভীর নলকূপের মালিক মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডলকে ও কৃষককে হয়রানী করছে প্রশাসন দিয়ে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির আখিঘোটনা গ্রামের মৃত গহিমুদ্দিন মন্ডল এর পুত্র মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডল গভীর নলকূপে লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করলে গত ০৬/১২/২০১২ ইং তারিখ, ১০/গন/ফুল/২০১২-১৩ নং লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। লাইসেন্সর প্রাপ্ত হওয়ার পর নিয়মিত ভাবে গভীর নলকূপটি ১০০ কৃষকের মাঝে প্রায় দেড় শত একর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছেন। এমতাবস্থায় ২০১৪ ইং সালে কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে একই গ্রামে মোঃ আব্দুর রহমান ও ২০১৬ ইং সালে কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে একই গ্রামে মোঃ মশিউর রহমান লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। তারা দুজনেই লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে আব্দুর রশিদ মন্ডল এর কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে অবৈধ্যভাবে ও বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের ইন্দনে পাইপ লাইন স্থাপন করেন। ফুলবাড়ী উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুব আলম প্রতিপক্ষের সাথে তাল মিলিয়ে মোঃ আব্দুর রশিদ কে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান না করেই বৈধ্য লাইসেন্সটি বাতিল করেন, এর পরিপেক্ষিতে আব্দুর রশিদ ০৯ জনকে বিবাদী করে ২০২২ইং সালে ডিসেম্বর মাসে হাই কোট ডিভিশন এ রীড পিটিশন আনায়ন করেন। এতে হাই কোট ডিভিশন ০৬ মাসের জন্য লাইসেন্সটি বাতিল আদেশকে স্থগিত করেন। মহামান্য হাই কোর্ট এর আদেশ অমান্য করে গত ০২/০১/২০২৩ ইং তারিখে ফুলবাড়ী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোঃ আব্দুর রশিদ এর কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুব আলম থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে দু-পক্ষকে বিষয়টি নিয়ে সমঝতায় বসার প্রস্তাব দেন। গত ০৪/০১/২০২৩ ইং তারিখে ফুলবাড়ী উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম এর নিকট দুপক্ষে বসলে কাগজপত্র যাচাই অন্তে হাই কোর্টে যেহেতু আব্দুর রশিদ মন্ডল এর পক্ষে ০৬ মাসের জন্য রীট আদেশ রয়েছে সেহেতু হাই কোটের উপর আমার করার কিছু নেই। এদিকে আব্দুর রশিদ তার বৈধ্য কমান্ডিং মধ্যে পাইপ লাইন স্থাপন করেছেন যার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরেন্দ্র প্রকল্পকে দুপক্ষের কমান্ডিং এরিয়া মাপ যোগক করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ফুলবাড়ী বরেন্দ্র তার ইচ্ছামত আব্দুর রশিদ এর কমান্ডিং এরিয়া মাপ করেন। প্রতিপক্ষদের কমান্ডিং এরিয়া মাপার বিষয়ে প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুব আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে আব্দুর রশিদ মন্ডল কে বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বারংবার হয়রানি করছে।

১২১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares