শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলমাকান্দায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন 

কলমাকান্দায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন 

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, প্রতিরোধযোদ্ধা পরিষদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন।
আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার বঙ্গবন্ধুর চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পকস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নীরবতা পালন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আয়োজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ওইদিন সকালে কলমাকান্দা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, নেত্রকোণা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত  বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম , থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন আজাদ ও  সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন , নারী নেত্রী ক্যামিলিয়া মজুমদার, কলমাকান্দা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার চন্দ্র বনিক, কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভা:) এইচ এম ইলিয়াস, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাসসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা,  প্রতিরোধযোদ্ধা, কলমাকান্দা প্রেসক্লাব,কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, বণিক সমিতি, রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের  নানা শ্রেনী-পেশার মানুষ ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানু মজুমদার এমপি বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাতক স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযোদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা ছিনিয়ে এনেছি লাল সবুজের পতাকা। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত দু,লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতীয় বীর। তাদেরকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক বলেন,স্বাধীনতার ৫১ বছর পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে পরাজিত উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির অনুসারি দেশে এখন নতুন রাজাকারের দল। ওরা মুক্তিযোদ্ধ স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে সামাজিকভাবে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ঐ রাজাকারদের ঠাই হবেনা। তিনি আরো বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযোদ্ধের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গড়তে হবে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ। বিজয় দিবসে এ আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS