রবিবার- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেয়ায়  নওগাঁর ধামইরহাটে নারী শিক্ষককে মারপিট: অফিস ভাংচুর

বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেয়ায়  নওগাঁর ধামইরহাটে নারী শিক্ষককে মারপিট: অফিস ভাংচুর

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা ; নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাটের খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেয়ায় এক নারী শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারপিট করেছে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবক। প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে ওই নারী শিক্ষককে মারপিট করার পর বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাংচুর করা হয়। স্থানীয়রা ওই শিক্ষিকা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর)রসকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।                                                         এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও ওই নারী শিক্ষক বাদি হয়ে থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি  হয়েছে।

ধামইরহাট থানায় লিখিত দুটি অভিযোগে সূত্রে জানা যাচ,উপজেলার খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.খেলুন সরদারের নিকট গত বুধবার দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে খড়মপুর গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন (৪০) বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর চায়। সরকারি সম্পদ প্রধান শিক্ষক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে আনোয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন কে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে খুঁজতে থাকে। প্রধান শিক্ষক কে না পেয়ে আনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ের চেয়ার,টেবিলের গ্লাসসহ বিভিন্ন ধরণের আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করতে থাকে। এ সময় সহকারি শিক্ষক মোসা.মারুফা ইয়াসমিন (৩৫) ও দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী মো.ইবাদত হোসেন ভাংচুরের প্রতিবাদ এবং এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন মিলে শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট করে। একপর্যায়ে তারা ওই শিক্ষকের ধলা দুই হাত দিতে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সসয় ওই শিক্ষকের চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অপরাপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক খেলুন সরদার ও সহকারি শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিন বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মারপিটের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আজমল হোসেন বলেন,খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুল ইসলামসহ আমি সহকারি শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থলে আমার একজন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন। সুষ্টু বিচারের জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যায়ভাবে শিক্ষককে মারপিট করার অপরাধে অবশ্যই দোষীর শাস্তি দাবী করছি।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি).মোজাম্মেল হক কাজী বলেন,থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares