সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষকদের গ্রæপিং ও শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন

শিক্ষকদের গ্রæপিং ও শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : শিক্ষকদের গ্রæপিং নিরসন সহ শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে পটুয়াখালীর দশমিনার এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মানববন্ধন করেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।

জানা যায়, দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী ১৯৭০ সালে এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৫’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যলয়টিতে কারিগরি (বিএম) ও জেনারেল শাখার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেষ্ট (মুল্যায়ন) পরিক্ষা চলছিল। কিন্তু হঠাৎ শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার কক্ষ থেকে পেপার ও প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে বের হয়ে যায় এবং অভিভাবকদের সাথে একত্রে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে।

ওই বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থী মো. আসিফ, মো. মান্না, মো. হাসান ও মো. মিরাজ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোন বই পাই নাই। কোন ক্লাশ হয় নাই। আমাদের কোন শিক্ষক নাই। আমরা কি লেখমু আর কি পরীক্ষা দিমু ? এছাড়াও স্যারদের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়া কোন্দল ও গ্রæপিং। তাদের এই কোন্দল ও গ্রæপিংয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের জড়ানো হয়ছে। আমাদের এটা কাম্য নয়।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক মো. মনির হোসেন, সাঈদুল গাজী ও সবুজ সরদার বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বিষয় নিয়ে গ্রæপিং হওয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়াসহ ঐতিয্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এখন ধংশের দার প্রান্তে। আমাদের বাচ্চাদের লেখাপড়ার মান ফিরিয়ে আনতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পরেশ চন্দ্র শীল বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে শিক্ষার মান সমুন্বত ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের নতুন প্রধান শিক্ষক মো. কাওছার ২০১৪ শালে যোগদানের পর থেকে অধ্যবদি প্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যায়ের হিসাব সহকারী শিক্ষদের কাছে না জানিয়ে নিজের খেয়াল খূঁসি মতো খরচ করেন। যার কোন হিসাব প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত তিনি দিতে পারেনি। এ নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দশমিনা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভাব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সামগ্রীক বিষয় নিয়ে আমার কাছে একটি অভিযোগ রয়েছে। যা আগামি সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ###

৪৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares