সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সরকারি খাল দখল করে পটুয়াখালীতে অবৈধ স্থাপনা

সরকারি খাল দখল করে পটুয়াখালীতে অবৈধ স্থাপনা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের খাল স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে দখল করে রেখেছেন। সামন্য বৃষ্টিতে উপজেলা পরিষদসহ সবুজবাগ ঘনবসতি এলাকায় হাটু সমান পানি জমে। ঘনবসতি ওই এলাকার মানুষের দাবী সরকারি খালটি দ্রæত অবমুক্ত করার।

স্থানী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের পিছনে তেঁতুলিয়া নদী থেকে শাখা খালের সাথে সংযুক্ত। ওই খালটি উপজেলা পরিষদসহ ঘনবসতি সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ এলাকায় পানি জমে যায়। এতে সবুজবাগ এলাকার মানুষের চলাচলে যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন অফিস আদালতে সেবা নিতে আসা উপকারভোগীদের ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালটির দুই পাশে স্থানীয়রা মাটি ফেলে অধিকাংশই ভরাট করে ফেলেছে। খালটির উত্তর মুখে নিজেদের রেকর্টকৃত সম্পত্তি দাবী করে ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তাই বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. ইদ্রিস আহমেদ মুন্সি বলেন, আমাদের বসবাস ৩০-৩৫ বছর এখানে দেখে এসেছি সবুজবাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খালটির উত্তর পাশ দিয়ে নদীর শাখা খালের সাথে মিলিত হওয়ার জায়গাটি আটকে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সুজন বেগম বলেন, আমার পিতা মৃত্যু ইউনুস হাওলাদার উপজেলা পরিষদের স্পিড বোট চালাক ছিলেন। আমি দেখেছি এই খাল দিয়া স্পিড বোট নিয়া উপজেলা পরিষদের পিছনে আসত। মহল্লার সব পানি এই খাল দিয়া নামত। খালটা স্থানীয় লোকজন বন্দ করে বাড়ি বানাইছে। একটু বৃষ্টি হলেই এখন আমরা পানিতে ভাসি। ঘর থেকে নামার উপায় থাকেনা। খালটি অবমুক্ত করার জন্য পূর্বে আমরা ইউএনও অফিসে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তাতে কোন লাভ হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি অবমুক্ত করা এখন আমাদের প্রানের দাবী।

স্থানীয় ওসাহরব হোসেন বলেন, ৪-৫দিন আগে জোয়ারের পানি উঠে এলাকাসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে হাটু সমান পনি ওঠে এমনকি ইউএিনওর বাস ভবনের সামনে পানি জমে থাকে । উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা উপকারভোগীরা মৎস্য, কৃষি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিএরডিবি, পল্লি সঞ্চায় উন্নয়ন ব্যাংক এ হাটু সমান পানির মধ্যদিয়ে যেতে দেখা যায়। সবুজ বাগ এলাকার ওই খালটি অবৈধ দখলদারদের থেকে মুক্ত করে খনন করলে এলাকাবাসি ও উপজেলায় আসা উপকাভোগীদের এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবেনা। উপজেলা প্রশাসনের কাছে খাল খনন ও অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস বিভাগের সাথে কথা হয়েছে তারা আমাকে খাল খনন প্রকল্প দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, স্থানীয়দের নিয়ে খালটি আমি পরিদর্শন করেছি এবং খালটির উত্তর পাশে অনেক আগে একটি বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। যার কারনে পানি নামার কোন জায়গা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস বিভাগের সাথে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে মৌখিকভাবে খাল খনন প্রকল্প দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares