সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জোড়া হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়েই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা

জোড়া হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়েই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী বাউফলে আলোচিত জোড়া হত্যা মামলার প্রধান প্রধান আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়েই প্রতিপক্ষ নিহতদের রড় ভাই মো.জিয়াউদ্দিন সুজনের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময়ে সুজনের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় সুজনের ওপর হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে হামলাকারীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দিবাগত ভোর রাতে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কেশবপুর গ্রামের মো. রফিক হাওলাদার(৩৬) ও রাসেল হাওলাদারের(৩৫) নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি দল কেশবপুর বাজারে প্রবেশ করে নিহত রুমান তালুকদারের বড় ভাই জিয়াউদ্দিন সুজনের কেশবপুর বাজরস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশের একটি কক্ষে হামলা চালায়। ওই কক্ষে সুজন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। হামলার শব্দ পেয়ে সুজন ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা সুজনকে বঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা সুজনের ওপর হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেশবপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। হামলাকারীরা এলাকায় অবস্থান করায় কেশবপুর বাজারে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২রা আগষ্ট সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেশবপুর বাজরে খুন হন কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. রকিব উদ্দিন রুমান তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই মো. ইশাত তালুকদার। সুজন নিহত রুমনের বড় ভাই। পরে ওই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হামলাকারীরা ওই মামলার আসামী এবং তারা জামিনে রয়েছেন।

সুজন বলেন, আসামীরা আমার দুই ভাইকে হত্যা করেছে। জামিনে থাকায় এখন আবার আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে। সে উদ্দ্যেশেই আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। এখন আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল মামুন বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আইন শৃংখলার যাতে অবনতি না ঘটে সে জন্য কেশবপুর বাজারে সার্বক্ষনিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

২৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS