শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রঞ্জুর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

তানোর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রঞ্জুর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে এক সন্তানের জননীর সাথে প্রতারনা করে প্রেম, ধর্ষন, তালাক ও ভ্রন নষ্ট করা পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক  শাহিন সরকার রঞ্জুর বিরুদ্ধে সেই স্ত্রী স্বামীর দাবি, ন্যায় বিচারের আসায় পুনরায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সাথে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে উল্টো প্রতারক রঞ্জু ভিডিও কলে সেক্স করেন। যা এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। শাহিন সরকার রঞ্জু তানোরপাড়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র। সে বর্তমানে পৌর ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্বে আছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে নতুন করে প্রতারক রঞ্জুকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। সেই সাথে তার শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে মেয়ের আত্মীয় স্বজনরা ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীরা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে টক অব দ্যা ফেসবুক হয়ে পড়েছে রঞ্জু। অপর দিকে মামলা তুলে নিতে ভিকটিমকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করছেন বলে দাবি করেন ভিকটিম ও তার স্বজনরা। সেই সাথে ছদ্দবেশী রঞ্জুকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে। চলতি মাসের ২৬ অক্টোবর তানোরের সীমান্তবর্তী চৌবাড়িয়া বাজারে চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
, জানা গেছে, সাবিনা ইয়াসমিন নামের ভারশোঁ ইউপি এলাকার তার স্বামী ও এক ছেলেকে নিয়ে তানোরপাড়া গ্রামের শাহিন সরকার রঞ্জুর বাড়ির পাশে ভাড়া থাকত। এঅবস্থায় সাবিনার সাথে রঞ্জুর পরিবারের  সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। যাতায়াত করতে করতে কু নজর পড়ে ছাত্রদল নেতার। এক পর্যায়ে রঞ্জু ওই গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন এবং আগের স্বামীকে তালাক দিতেও বলেন। রঞ্জুর প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দিয়ে কোর্ট এভিডেভিট ও ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরে রঞ্জু বাড়িতে না তুলে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে রেখে যাবতীয় খরচ দিতেন। এসবের মধ্যে রঞ্জু সাবিনাকে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ ও নির্যাতন এবং নানান কায়দায় দুমাসের গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে তাকে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে সাবিনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ঘটনা জানতে মেরে রঞ্জও সাবিনার নামেও মামলা করেন। যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআই পুলিশকে। পিবিআই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রঞ্জুর পক্ষে প্রতিবেদন দেয় বলে দাবি করেন ভিকটিম।
সাবিনা জানান, আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন রঞ্জু। সে আমার সাথে ভয়ংকর প্রতারনা করেছেন। আমার শুধু শরির নিয়ে খেলেছে। আমি নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি। মামলা ও তাড়িয়ে দেওয়ার পর রঞ্জু কয়েক মাস ধরে ভিটিও কলে সেক্স করেন এবং ফোন ধরতে দেরি হলে নানা ভাবে নির্যাতন করেন। রঞ্জু ছাত্রদলের নেতা, তানোর সদরে বাড়ি এজন্য সে একাধিক মহিলার সাথে প্রতারনা করে ছাড় পায়। কারন তারা প্রভাবশালী বড়বড় নেতাদের সাথে সম্পর্ক। আমার জীবন তো শেষ, আমিও তাকে দেখতে চায় কত ক্ষমতা। আমি তাকে এমনও কথা বলেছি স্ত্রীর অধিকার চায়। কিন্তু রঞ্জু ছদ্দবেশি ভয়ংকর প্রতারনা করেছে। কারন একটাই বিভিন্ন মেয়ের সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে ভয়ভীতি  দেখায় রক্ষা পায়। আমার নামেও মামলা করেছিল, বিচারককে সব ভিটিও দেখানোর পর আমার জামিনসহ মামলা শেষ হয়। সে টাকার জোরে সবকিছু করছে। এদিকে এসবও করছে আবার রাতভর আমার সাথে মোবাইলে ভিডিও কলে সেক্স করছে। আমি আতংকে দিন পার করছি। আমি তার বিরুদ্ধে নওগাঁ আদালতে
ধর্ষন মামলা করি। কিন্তু রঞ্জু মোবাইলে ভিডিও সেক্স করে আসছে এবং ভাড়া বাড়িতে থাকার প্রলোভন দেখানোর কারনে মামলার বিষয়ে  গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। এদিকে আমার সাথে এসব করছে অপর দিকে মামলা তদবির করে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দেয় নওগাঁ পিবিআই পুলিশের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। আমি চৌবাড়িয়া বাজারে আইয়ুব মাওলানার বাড়িতে ভাড়া থাকা অবস্থায় পিবিআই পুলিশের কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান তদন্ত করে সত্যতা পেয়েও রঞ্জুর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছে। আমি মামলার জবেদা কপি তুলে অল্পদিনের মধ্যে হাইকোর্টে মামলা করব। আমি অনেক ধর্য্য ধরেছি। কারন এক সংসার ভেঙ্গে বিয়ে করেছি, আমি ন্যায় বিচার পেতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাব। সে ছাত্রদলের কত বড় নেতা, আর কত ক্ষমতাবান সেটা দেখতে চায়। হয় ন্যায় বিচার, না হয় স্ত্রীর মর্যাদা, নচেৎ তার বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোন পথ নেই। শুধু এখানেই শেষ না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আরিফ ইনজেকশন দিয়ে দু মাসের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিন সরকার রঞ্জু জানান, সাবিনা আমাকে ব্ল্যাক মেইল করেছে, আমি তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করব। আপনার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরও মোবাইলে ভিডিও কলে সেক্স করেছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি।
ডাক্তার আরিফ জানান,  আমি চিকিৎসা করিনি। আপনি ইনজেকশন দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করেছেন এটা কি আপনি পারেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন আমার স্বরন হচ্ছে না বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তানোর উপজেলার সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি এমএ মালেক মন্ডল জানান, শাহিন সরকার রঞ্জু সাবেক মেয়র মিজানের একান্ত সহচর, এজন্য তাকে আহবায়ক করেছে, যাকে বলে পকেট কমিটি। রঞ্জু কোন ছাত্র না হয়েও পদে থাকার কারনে নারী কেলেংকারী ঘটিয়েই যাচ্ছেন। এসব ছদ্দবেশীদের জন্য ছাত্রদলের করুন অবস্থা। বিয়ে করে বউ ঘরে নিবে না, আর ভিডিওকলে সেক্স তারমত ছেলেকে দল থেকে  দ্রুত বহিস্কার করা হোক।
এদিকে জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত ছাত্রদলের নেতা শামিম সরকারের ০১৭১১২৭২৬২১ মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
৩৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares