শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বামীর সাথে বেড়াতে মিশরীয় নারী দালিয়া বাংলাদেশে সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে এলাকাবাসীর ভিড়

স্বামীর সাথে বেড়াতে মিশরীয় নারী দালিয়া বাংলাদেশে সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে এলাকাবাসীর ভিড়

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : ভালোবেসে বিয়ের দুই বছর পর স্বামী গোলাম সারোয়ার বাবু’র (৩৮) সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন ডালিয়া আবদেলাল

নামের (৩০) নামের এক মিশরীয় নারী। মিশর থেকে প্রেমের টানে এক নারী সেনবাগের নবীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের চাঁদ মিয়া হাজ্বীতে আসার খবর দ্রæত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শতশত নারী পুরুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমান মিশরীয় ওই নারীকে এক নজর দেখার জন্য।

জানাগেছে,সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের চাঁদ মিয়া হাজ্বী বাড়ির গোলাম মাওলার ছেলে মোঃ গোলাম সারোয়ার বাবু ৮বছর আগে জীবিকার সন্ধানে মিশরে পাড়ি জমান। সেখান দীর্ঘ দিন থাকার প্রতিবেশী ইস্কাবিয়া শহরের আলেকজান্ডরিয়া এলাকার মিশরীয় নারী ডালিয়া আবদেলাল সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু গোলাম ছাওয়ার সারোয়ার বাবু বিনদেশী বাংলাদেশী হওয়ায় ডালিয়া আবদেলাল

পিতা ডিআপ আন্ডিপ ও মাতা দিলহান ওই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হচ্ছিলনা। অবশেষে দালিয়া তার পিতা-মাতাকে রাজি করানোর পর ২০২০ সালে ২০ জানুয়ারী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর মিশরে থাকা অবস্থায় গত বছরের অক্টোবরে তাদের একটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। কিন্তু জন্মের তিনদিন পর ও শিশুটি মৃত্যু হয়।

এরপর স্বামী-স্ত্রী দম্পতি সারোয়ার বাবু ও ডালিয়া আবদেলাল বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর বিকেলে মিশর থেকে হযরত শাহ জালাল(রাঃ) আন্তজার্তিক বিমানবন্দর হয়ে সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে পৌছে।

প্রেমের টানে মিশর থেকে এক নারী সেনবাগের গোবিন্দপুর গ্রামের এসেছে এমন খবর দ্রæত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শতশত নারী পুরুষ ওই নারীকে এক নজর দেখার ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ও জেলার সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় প্রকৃত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মিশরীয় ওই নারী প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেননি তিনি এসেছেন স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশে ভেড়াতে।

বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে তাদের। বিদেশী পুত্রবধ‚কে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি। মিশরী গৃহবধূ ডালিয়া আবদেলাল বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিশরী ওই ভাষা বাংলা অনুবাদ হিসেবে তার স্বামীর বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশী খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালবেসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পচন্দ বলেও মন্তব্য করেন । তবে ডালিয়া আবদেলাল কারো সাথে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুর বাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি। বাবুর পিতা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধ‚ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধ‚কে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।

নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশী পুত্রবধ‚কে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদেরর বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধ‚র উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানাল অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মিশরীয় ওই নারী ডালিয়া আবদেলাল

সেনবাগের গোলাম ছারওয়ার বাবুকে বিয়ে করেছে। ডালিয়া আবদেলাল মিশরীয় পাসপোর্ট পাসপোর্ট নং এ ৩১০৪৪০৪৮নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে।

১৩২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares