![ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/09/Gurudaspur-Natore-News-Pic.jpg)
ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইসাহাক আলী, নাটোর, ২২ সেপ্টেম্বর- নাটোরের গুরুদাসপুরে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি। এছাড়া এমপির অনুষ্ঠান বর্জনের পর পরই কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে মঞ্চ আয়োজন সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিতে অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘন্টা আগেই সেখানে যান এমপি কুদ্দুস। কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের নামও ছিল ব্যানারে। এমপি গাড়ি থেকে নামার পরই মঞ্চের ব্যানারে তাকিয়ে দেখেন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। সেই মুহূর্তেই সংসদ সদস্য ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। এমপি অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব জানান, বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক সক্রিয় আছেন। তাদের প্ররোচনায় বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে মাননীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন এবং আমরা বিক্ষোভ করেছি।
তবে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি অস্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হক জানান, অনুষ্ঠানে কিছু ত্রুটি ছিল তাই আজকের মতো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। যেসব ভুল ছিল ইতোমধ্যেই সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে ব্যানারও তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে আবার অনুষ্ঠানের দিন তারিখ ঠিক করা হবে।
সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বরাবরই আমি প্রতিটি অনুষ্ঠানে সময়ের আগে উপস্থিত হই। কলেজের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০টায়। আমি সাড়ে ৯টায় কলেজে উপস্থিত হয়েছিলাম। মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। আমি তখনই কলেজ ত্যাগ করি। যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকে না সেখানে আমার থাকার প্রশ্নই আসে না। তাই আমি অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।