শুক্রবার- ২৮শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দৌলতপুরে আবাসনে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করলেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান

দৌলতপুরে আবাসনে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করলেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি :দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে গড়পিংলাই (দুর্গাপুর) আবাসনের প্রবেশের একমাত্র রাস্তাা দক্ষিণ দিকে পলিপ্রয়াগ পুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম, সেখানেই অবস্থিত ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক। ঠিক তার সামনে পতিত কয়েক শতক জমি পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাাফিজুর রহমান ফিজুল এর। উক্ত আবাসনে প্রায় একশতটি অসহায় ভুমিহীন পরিবার বসবাস করে। ঐ পতিত জমিটির পাশদিয়েই আবাসনের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাা।আবাসনে বসবাসরত ভুমিহীন গরিব অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ পরিবার ভ্যান,অটোচার্জার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা প্রতিদিন সকালে ভ্যান,অটোচার্জার নিয়ে বেরিয়ে যায় সন্ধায় আবাসনে ফিরে এসে নিজ নিজ বাড়িতে ভ্যান, অটোচার্জারে চার্জ দেয়। গত দু-তিনদিন তারা ভ্যান ও অটোচার্জারে চার্জ দিতে পারছেনা বিধায় তাদের নিত্য রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। আবাসনের মাঝখানে বড় পুকর থাকায় এবং পশ্চিম ও উত্তর দিকে ডোবা এবং আবাদি জমি, পুর্ব ও দক্ষিণপুর্ব দিকে দুর্গাপুর গ্রামের মানুষের বাড়িঘর তাছাড়া অনেক উচু নিচু হওয়ায় চলাচলের জন্য কোন সুজোগ নেই। আবাসনে বসবাসকারী মানুষগুলোর বের হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তাা সেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের জমির পাশদিয়ে, কিন্তু সেই সাবেক চেয়ারম্যান তার জমির পাশদিয়ে আবাসনের মানুষদেরকে চলাচল করতে দিতে নারাজ। তাই গত ১২ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাঁসের তৈরি বেড়া দিয়ে ঘিরে আবাসনের মানুষদের আসা যাওয়া ও চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার কারনে আবাসনের অসহায় মানুষগুলো পড়ে চরম ভোগান্তি ও অসুবিধায়। আবাসনের মহিলা পুরুষ ও ছোট ছেলে মেয়েদের কে বাহিরে বের হতে হচ্ছে পানিপুর্ন আবাদি জমির মধ্য দিয়ে। যার কারনে যেকোনো মুহুর্তে যেকোনো বিপদ ও দুর্ঘনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আবাসনের এই ভুমিহীন গরিব ও অসহায় মানুষদের আকুতি ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের নিকট অতি তাড়াতাড়ি আবাসনের গৃহবন্দী মানুষগুলোর চলাচলের জন্য রাস্তাা তৈরী করে এই গৃহবন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হোক। এদিকে আবাসনে অনেক আগে নির্মিত টিনের তৈরি ঘরগুলো প্রায় মরিচা ধরে ভাঙা ফুটো হয়ে নস্ট হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যা অতিসত্তর মেরামত বা সংস্কার করা প্রয়োজন। আবাসনে বসবাসকারী লোকজন উল্যেখিত সমস্যাগুলো দ্রত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

৩৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS