ভারত সীমান্তে পুশইন করার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি সীমান্তে পুশব্যাকের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এজন্য আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশিদের প্রোপার চ্যানেলের মাধ্যমে আমাদের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় রাজশাহীর কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন রিক্রুট ১৪তম ব্যাচের ডেপুটি জেলা ও ৬২তম ব্যাচের কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথাা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট বলেন,সীমান্তে কোনও সুরক্ষা ঘাটতি নেই। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ সক্ষম ও প্রস্তুত। আরও বলেন আরও বলেন,দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের প্রবণতা বাড়ার বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে প্রতিবেদন করলে প্রতিবেশী দেশ তাতে সুবিধা নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান শিথিল হয়নি; অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এবং দেশের কারাগুলোকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অন্তবর্তীকালিন সরকারের সংস্কার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কারাগারকে কারেকশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার কারা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিকমানের করতে কাজ করছে। বন্দিদের নিরাপদ করতে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার কারারক্ষিদের সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ জেল গ্রেডের প্রবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা অতি শিঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিনে বিভিন্ন সংস্থার নেয় অবসরকালিন কারা সদস্যদের আজীবন রেশন প্রদানের বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ১৮ জন নবীন ডেপুটি জেলার ও ৫০৮ জন কারারক্ষীর প্রশিক্ষণ সমাপ্তির স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। উল্লখ্যে,দুদিনের সরকারি সফরে সোমবার বিকেলে রাজশাহী পৌঁছান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানটি ছিল তাঁর সফরের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।