বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, English Version

শার্শায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

শার্শায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ প্রতি বছর ই বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আয় ব্যয়ের নিরিক্ষা প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। কিন্তু যারা বা যে সমস্ত কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিদর্শনকের দায়িত্ব পালন করেন তারা ঐ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের অফিস প্রধানের মাধ্যমে আয় ব্যয়য়ের অসংগতির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য আদায় করে বৈধতা দিয়ে চলে যাচ্ছেন। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উৎকোচ দিতে অপারগতা বা কম দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাদের অডিট গুলি ত্র“টিপূর্ণ বলে মন্তব্য লিখে থাকেন। পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শার্শা উপজেলায় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যশোর সদরে ২টি সহ মোট ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেছেন নিরিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আবু দাউদ। প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোগা কালিয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুটখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিজামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেতাই এসিআই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেনাপোল মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা অপর ২ুটি যশোর সদরে অবস্থিত। অভিযোগ পাওয়া গেছে বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল আজিজ ৫ই আগষ্টের পর থেকে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় ব্যক্তিগত ভাবে করেছেন। বিদ্যালয়ের মিসলিয়েন্স খরচ ১০ থেকে সর্ব উচ্চ ১৫ হাজার টাকার পরিবর্ততে কোন মাসে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দেখিয়ে ভূয়া ভাইউচারের মাধ্যমে তোসরুপ করেছেন। বিগত সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব শাহাবউদ্দীন অবসরে য্ওায়ার পর থেকে এভাবেই অফিস সহকারী আব্দুল আজিজ লক্ষ লক্ষ টাকা তোসরুপ করে নিজের পকেটে ভরছেন। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষখ মহীউদ্দীন আলমঙ্গীর যার ইনডেক্স নং ১১৪১১৩১, বাংক হিসাব নং ৩০৭৯০১১১১০০২০৫৩ এবং পের্কোড নং ১১, গত ২৭/১২/২০১৬ তারিখে এনটিআরসির নিয়োগ দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বৈধ্য করে নেয়। প্রকৃত পক্ষে সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দীন আলমঙ্গীর এনটিআরসির বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত নয়। এ ব্যাপারে উৎকোচ আদায়, অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ, দূর্নীতির বিষয়ে পরিদর্শক মোঃ আবু দাউদ এর নিকট তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রতিষ্ঠান অডিটের নামে উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানে ক্রটি আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

৩৪৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares