ভোলা-দৌলতখানের চরবাসি চকেট জামাল আতংক-২

ভোলা-দৌলতখানের চরবাসি চকেট জামাল আতংক-২

ভোলা প্রতিনিধি ; ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মাঝের চরের কাচিয়া, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর, চরবৈরাগী, মেদুয়া, নেয়ামত পুরের কৃষক, মালিক ও সকারের হাজার হাজার একর জমি এখন বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দ ঘর এলাকার আওয়ামীলীগের ক্যাডার. হত্যাসহ একাধীক মামলার আসামী, কুখ্যাত জল ও ভুমি দস্যু চকেট জামালের দখলে, জমিতে ফসল ফলান কৃষক আর ফসল ভোগ করেন চকেট জামাল বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভুগীরা। কৃষক ও মালিকেরা প্রতিবাদ করলে মারপিটসহ বিভিন্ন ভাবে তাদের হয়রানী করা হয়। চকেট জামারের দোষর হয়ে সহায়তা করছেন মদনপুর ইউনিয়নের দায়ীত্বে থাকা ছাত্রলীগ ক্যাডার এক এস আই। এসব বিষয় নিয়ে দির্ঘদিন চরবাসি- সংবাদ সন্মেলন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার এবং কোস্টগার্ড বরাবরে একাধীকবার অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্ত ভোগীরা।
মদনপুরের ইলিয়াসসহ শতাধীক জমির মালিক ও কৃষক জানান, আমরা মদনপুর ইউনিয়নের জমির মালিক ও কৃষক। আমাদের পৈত্তিক জমিতে আমরা কয়েক যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসিতেছিলাম। পরিতাপের বিষয় হঠাৎ চলতি মৌসুমে বহিরাগত সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দ ঘর এলাকার ভুমি ও জলদস্যু চকেট জামাল, আলাউদ্দিন, কামাল মেম্বার, মনির সাজি, আবু সাইদ বয়াতীসহ চিহ্নিত কিছু জল ও ভূমি দস্য ৫-৬টি স্প্রিডবোর্ডে যোগে এসে চরের মধ্যে গুলি বর্ষন করে আমাদের ফসলসহ জমি জোর পূর্বক দখল করে নেন। তাদের গুলিতে ৩ জন গ্রাম পুলিশও আহত হয়।
চকেট জামাল-কাচিয়া ও দৌলতখানের মাঝের চরে ভূমি, জল, বালু দস্যু ও চাদাবাজি কালে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়ে কয়েকমাস জেল খেটে,জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও পুরানো পেশায় লিপ্ত রয়েছেন। তার সহযোগী আলাউদ্দিনসহ সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের জমি অন্যের কাছে বন্ধক রেখে ভোগ করেন। তার অস্ত্র ও বাহিনীর কাছে আমরা অসহায়।
আমরা ভুক্তভোগী পরিবার, ভোলা পুলিশ সুপার, কোষ্ট গার্ড, নৌ-বাহিনীর নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। কিন্তু আমরা কোন ধরনের সহায়তা তাহাদের কাছ থেকে পাইনি। উক্ত ভূমি দস্যু চকেট জামাল তাহার অবৈধ টাকার মাধ্যমে সকলকে ম্যানেজ করে আমাদের উল্টো হয়রানী করে। ভূমি দস্যু চকেট জামাল আমাদেরকে প্রতিনিয়ত টিটুর মত হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছেন। রাত হলে তিনি ৫-৬াট স্প্রিটবোর্ড নিয়ে জংশনের মেঘনা থেকে মনপুরার শেষ মাথা পর্যন্ত তার বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়ে জেলা নৌকা, বলগেট এবং বিভিন্ন নৌযানে ডাকাতি করে সব কেড়ে নেন। ওইসব নৌযানে টাকা বা মুল্যবান জিনিস পত্র না পেলে সেগুলোকে তার এলাকায় নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় করে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতংকে দিনযাপন করছি।
অসহায় ভুক্তভোগীরা উক্ত জমির ফিরে পেতে বাংলাদেশ জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থ,ভোলা -২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের বিএনপির সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম এবং প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।

১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares