বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দুর্গাপুরে জোড়াতালি দিয়ে চলছে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

দুর্গাপুরে জোড়াতালি দিয়ে চলছে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সুসংসরকারি মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৭টি পদ শূন্য রয়েছে,খÐকালীন শিক্ষক দিয়ে কোনমত চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়াও খÐকালীন পিয়ন ৪জন,শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সহকারী ১জন,আইসিটি ল্যাব অপারেটর ১জন,খন্ডকালীন অফিস সহায়ক ১জন, আইসিটি অতিরিক্ত দায়িত্বে ২জন রয়েছে। শিক্ষক সংকটের ফলে,ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত পাঠদান।

সুসং কলেজটি প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও এমন শিক্ষক সংকট এর আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক। অতিদ্রুত শিক্ষক সংকট দূরীকরণ সম্ভব না হলে, শিক্ষা কার্যক্রমের অনেকটা ঘাটতির ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে বলেও তিনি জানান।

তবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর কলেজ সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্বক সহায়তায় খÐকালীন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার মানদÐটাকে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি স্বীকার করেণ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একান্ত আলোচনায় এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ২৭ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৭টি। খÐকালীন শিক্ষক ৭জন। খÐকালীন অফিস স্টাফ ৯জন। অধ্যক্ষের পদটিও শূন্য। উপাধ্যক্ষের পদ সৃষ্টি হয়নি। ইংরেজি প্রভাষক শূন্য পদ ১টি,পদার্থবিজ্ঞান শূন্য পদ ১টি,বাংলা প্রভাষক শূন্য ১টি,রসায়ন ১টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান শূন্য পদ ২টি,সমাজকল্যাণ শূন্য পদ ১টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অনেকগুলো বিষয়ের স্যার নেই,আবার অধ্যাপকসহ যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবে চলছে জোড়াতালি দিয়ে। এতে মানসম্মত শিক্ষা ও নানা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক না থাকলে বা ক্লাস না হলে আমাদের শিক্ষায় ঘাটতি থেকে যায়। যারা আছেন তারা যোগ্যতাসম্পন্ন। তবে শিক্ষক সংকট বিষয়টি দ্রæত সমাধান হলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।

সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে সরকার শূন্য পদে দ্রুত পদায়ন করবে বলে আশা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আইনুল হকের। ৩৪টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৭টি। এমন সংকটে শিক্ষার্থীদের কাঙিক্ষত পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। গত ৫২ বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, তবে যেসব পদ শূন্য হয়েছে, তা পূরণ করা দরকার। শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় আমরা পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছি। খুব দ্রæত শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। তখন আর এ অসুবিধা থাকবে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মুঠোফোনে শিক্ষক সংকটে উত্তরণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় কলেজে শিক্ষক সংকট ও সমাধানের বিষয়টি ডিজি মহোদয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিষয়। জেলা প্রশাসক হিসেবে শিক্ষক সংকট সমাধানে,এখানে তেমন কোন ভুমিকা রাখার সুযোগ নেই।

২৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS