![গোবিন্দগঞ্জ হরিপুর শহরভানিয়া দাখিল মাদ্রাসার দুটি পদ পরিবর্তন করে ব্যানবেইস প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গোবিন্দগঞ্জ হরিপুর শহরভানিয়া দাখিল মাদ্রাসার দুটি পদ পরিবর্তন করে ব্যানবেইস প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/08/297676754_784886742546011_7.jpg)
গোবিন্দগঞ্জ হরিপুর শহরভানিয়া দাখিল মাদ্রাসার দুটি পদ পরিবর্তন করে ব্যানবেইস প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হরিপুর শহরভানিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদ-পদবি ইচ্ছা মাফিক পরিবর্তন করে অনলাইনে ব্যানবেইস প্রেরণ এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাকরি করে আসা ব্যক্তিকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অফিস সহকারী পদ থেকে মো. আজাদুল ইসলাম (খাজা) কে বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে উক্ত পদে এবং জুনিয়র শিক্ষক পদে সম্প্রতি সুপারের আত্মীয় সাবানাকে নিয়োগ দেখিয়ে ব্যানবেইস পাঠানোয় বিক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে এর প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জুনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম ও বঞ্চিত অফিস সহকারী আজাদুল ইসলাম (খাজা)।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, সম্প্রতি হরিপুর শহরভানিয়া দাখিল মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়। সে মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি এমপিও কোড পেয়েছে। কোড পাওয়ার পর স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যানবেইস ফরম পূরণ পূর্বক অনলাইনে দাখিল করে। যার শেষ তারিখ আজ (১ থেকে ৫ আগস্ট) মধ্যরাত। এরই মধ্যে শহরভানিয়া মাদ্রাসা সুপার মো. আনিছুর রহমান স্বেচ্ছাচারিতায় সকল বিধি বহির্ভূতভাবে তার শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদ-পদবি ইচ্ছা মাফিক পরিবর্তন করে তাদের কাগজপত্র অনলাইনে দাখিল করেছে।
১৯৮২ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করে এবং বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মো. সাইফুল ইসলাম এবতেদায়ী শাখায় জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নেন। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময় সে শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও ভুক্তির ঘোষণা আসার পর পরই সুপার নতুন করে একজন জুনিয়র শিক্ষক মোছা. শাবানাকে নিয়োগ দেখায়। আর জুনিয়র শিক্ষক পদে চাকরি করে আসা সাইফুলকে অফিস সহকারী পদে দেখায়। অপরদিকে অফিস সহকারী পদে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাকুরি করে আসা মো, আজাদুল ইসলাম (খাজা)কে প্যাটার্ন থেকে বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যানবেইস প্রেরণ করে।
প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এবতেদায়ী প্রধান পদে মো. ফজলুল করিম, ক্বারী পদে মোছা. আমেনা বেগম, জুনিয়র মৌলভী পদে আ. হান্নান ও জুনিয়র শিক্ষক (সাধারণ) পদে সাইফুল ইসলাম কর্মরত ছিলেন।