সৈয়দপুর খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি চরমে : চলছে জোর জুলুম : মেয়র-সাংসদের হস্তক্ষেপ চায় ভুক্তভোগীরা

সৈয়দপুর খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি চরমে : চলছে জোর জুলুম : মেয়র-সাংসদের হস্তক্ষেপ চায় ভুক্তভোগীরা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর সৈয়দপুর টু মদনগঞ্জ ট্রলারঘাটে যাত্রী হয়রানি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। টেন্ডারের সিডিউল অনুযায়ী ঘাটে যাত্রী প্রতি ২টাকা করে নেয়ার কথা থাকলেও সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষো করে যাত্রীদের কাছ থেকে তারা টোল আদায় করছেন ১০টাকা করে।

এ ব্যাপারে অসহায় যাত্রী সাধারণ প্রতবাদ করতে গেলে তাদেরকে নিদারুন নাজেহাল হতে হয়। প্রতিনিয়তই এ ঘাটটিতে যাত্রী নির্যাতন ও লাঞ্চিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

বিষয়টি সৈয়দপুরের স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গকে অবহিত করার পরও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেননা। যার দরুন সৈয়দপুর খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি চলছেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক যাত্রী সাংবাদিকদেরকে জানান,সৈয়দপুর খেয়াঘাটটি যাত্রী হয়রানির ঘাটি। এই ঘাটে প্রতিদিনই যাত্রী হয়রানি,নির্যাতন ঘটেই থাকে। তাদেরকে কেউ কিছু বলতে পারেনা। একই শর্তে আরো একজন নারী যাত্রী বলেন,তারা সব সময়ই যাত্রীদের সঙ্গে অসাদাচরণ করে থাকেন। তারা যাত্রীদেরকে মানুষ মনে করেন না।

একেতো ভাড়া চার গুন তার উপরে নৌকা না ভরে তারা পারাপার করান না। কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করা হয়। প্রতিবছরই এরা ইজারা নিয়ে জোর-জুলুম চালিয়ে আসছে। এদিকে আবার খেয়া পারপারের জেটিটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী জেটি মেরামত নিয়েও তাদেরকে কিছু বলা যায়না। আতবন সম্মানের ভয়ে কেউ টু-শব্দটি পর্যন্ত করার সাহস পায়না। এ ব্যাপারে ঘাটের ইজারাদার আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজেকে ঘাট ইজারাদার না বলে লাইনটি কেটে দেন। প্রকাশ থাকে যে,বিগত করোনাকালীন সময়ে বন্দর থানার জনৈক দারোগা স্ব-পরিবারের পারপারের সময় ঘাট কর্তৃপক্ষের কতিপয় সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আতœরক্ষার্থে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়। বিষয়টি বিআইডবিøউটিএ কর্তপক্ষসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ করা অত্যাবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে।

৩১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares