বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দাগনভূঞায় আরও ১৬৬ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রী’র ঘর

দাগনভূঞায় আরও ১৬৬ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রী’র ঘর

আবদুল্লাহ আল মামুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে ভার্চুয়ালি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ ২৬২২৯ টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং উপস্থিত সকলে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন ১৬৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের জমির কবুলিয়াত দলিল ও নামজারি খতিয়ানসহ সেমিপাকা নতুন ঘর হস্তান্তর করেন। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি’র সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সী, উপজেলা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাহেদা হোসেন,থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল ওহাব সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক, দাগনভূঞা সদর ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত উল্যাহ স্বপন ও দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সুবিধাভোগীদের হাতে জমির কবুলিয়াত দলিল ও নামজারি খতিয়ানসহ সেমিপাকা নতুন ঘর হস্তান্তর করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে দাগনভূঞা উপজেলায় ১৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক করে জমির কবুলিয়াত দলিল ও নামজারি খতিয়ানসহ সেমিপাকা নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪৬টি ঘরের মধ্যে ১৯৬টি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকী ঘরগুলোর কাজ চলমান। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ টাকা। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ৩০টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

৬৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares