![কলমাকান্দায কাঁচা মরিচ একশো গ্রাম ৬০ টাকা কলমাকান্দায কাঁচা মরিচ একশো গ্রাম ৬০ টাকা](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/07/IMG_20230709_110040.jpg)
কলমাকান্দায কাঁচা মরিচ একশো গ্রাম ৬০ টাকা
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্থানীয় কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ সাহা বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ জেলা শহরসহ আমাদের এলাকায় আসে নাই। আমি রংপুর এলাকার মরিচ এনেছি কেজি ৩৬০ টাকা দরে। আর পাইকারি বিক্রি করছি কেজি ৪০০ টাকায় ।
উপজেলার সদরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে একশো গ্রাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তীব্র তাপপ্রবাহে সারাদেশে মরিচের উৎপাদন কম। চাহিদার তুলনায় মরিচের উৎপাদন কম হওয়াতে দাম হু হু করে বেড়েছে। রেকর্ড মরিচের দাম বৃদ্ধির মধ্যে গত রোববার রাতে ভারতের মরিচ যশোরের বাজারে প্রবেশ করায় দেশী মরিচের দাম কমে গেছে। তবে নেত্রকোনা জেলা শহরসহ উপজেলা পর্যায়ে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ আসে নাই। কলমাকান্দা বাজারে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ীর ঘর রয়েছে ৫/৬ টি । শুধু আজকে কৃষ্ণ সাহা আড়ৎ ঘরে রংপুর এলাকার কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন। যা প্রয়োজনীয় তুলনায় অপ্রতুল।
খুচরা মরিচ ব্যবসায়ী কাজল বলেন, তাপপ্রবাহ আর বর্ষার কারণে স্থানীয় মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছিল। বাজারে এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরা ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।
সুমন নামে আরেক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, জেলা শহর থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করার জন্য এনেছি। একশো গ্রাম ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাঁচা মরিচ কিনতে আসা মুজিবুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্নার তরকারি আমার কাছে খুবই পছন্দীয় খাবার। এখন গলার কাঁটা হয়ে গিয়েছে। এই দামে কাঁচা মরিচ কিনতে গেলে সংসারের অন্যান্য জিনিস কিনবো কীভাবে ? আর তাই আজ একশো গ্রাম কাঁচামরিচ কিনলাম।
শেখ শামীম নামে আরেকজন বলেন, ঈদের আগে আধা কেজি কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। দাম বাড়ার পর আর কিনি নাই। তবে আজ রোববার বাজারে এসেছিলাম কাঁচামরিচ কেনার জন্য দাম বেশী থাকায় কিনি নাই !