হাতিয়ায় ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর গ্রেফতার ২
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার তমরদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের রাতের ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে আঁধারে একটি হিন্দু বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগের রুবেল ও মাইন উদ্দিন নামের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে হাতিযা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামে রাধাগোবিন্দ মন্দির কমিটির সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় সঞ্জয় চন্দ্র দাসের বাবা-মা সহ ৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাশেমকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন সঞ্জয় চন্দ্র দাস।
সঞ্জয় চন্দ্র দাসের ভাই সমীর চন্দ্র দাস বলেন, প‚র্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে কাশেম মেম্বার ও তার লোকজন আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসেন। এরপর রাত ১০টার দিকে কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে ৬০-৬৫ জনের একদল লোক আমাদের বাড়িতে আসস্মিক হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচর করে এ সময় হামলাকারীরা আমার ভাই সঞ্জয় চন্দ্র দাসকে না পেয়ে বাবা দয়াল হরি দাস (৭৭) ও মা বিপুল রানী দাসসহ (৬০) পরিবারের ৪ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
‘হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমির হোসেন বলেন, প‚র্ব শক্রতার জের ধরে কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে হিন্দুবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে সঞ্জয় চন্দ্র দাস বাদী হয়ে মামলা করলে ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আসামিদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।