বাঘায় মেয়েকে স্কুলে নিতে গিয়ে জীবন দিলেন পিতা-হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মা ও মেয়ে


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় মেয়েকে স্কুলে নেয়ার পথে বাসচাপাই একটি করে পা-হারান বাবা ও মেয়ে। একই সাথে আহত হন অন্তসত্তা স্ত্রী।সোমবার সকাল পৌনে ৯ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনকেই রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিকেলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাবা।সোমবার সকালে উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার সকালে একই মোটরসাইকেল যোগে ৫ বছর বয়সের মেয়ে উম্মে তুরাইফা ও তার অন্তসত্তা স্ত্রী জেসমিনকে সাথে নিয়ে বাঘার গ্রীন হ্যাভেন স্কুলে আসছিলেন পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার বেরিলা বাড়ি গ্রামের জাহেদুল ইসলাম ওরুপে শান্ত (৩০)। পথিমধ্যে বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌছালে বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুপারসনি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল দুমড়ে মুচড়ে তিনজনই গুরুতর আহত হন । এ ঘটনায় মাবা এবং মেয়ের ডান পায়ের হাটুর নিচের অংশ বিছিন্ন হয়ে যায় । একই সাথে ডান হাত ভেঙে আহত হন জেসমিন আক্তারি। এ সময় স্থানীয় লোকজন, তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে রেফার্ট করেন।
সোমবার দুপুর দেড়টায় মুঠোফোনে কথা হলে আহত জাহেদুল ইসলাম(শান্ত)’র শ্যালক আবিদ হাসান ও চাচাতো ভাই রায়হান জানান, সন্তান সম্ভাবনা জেসমিন আক্তারিকে রামেকের আর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জাহেদুল ইসলাম(শান্ত)এবং উম্মে তুরাইফাকে অপারেশন রুমে নেওয়ার পর তাদের দু’জনকে আইসিউতে রাখা হয়েছে। বিকেলের মধ্যে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সেখানকার চিকিৎসক। তবে শেষ পর্যন্ত জাহেদুল ইসলাম(শান্ত)কে আর বাঁচানো গেলনা। তিনি বিকেল ৫ টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান জানান,ঘটনার পর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। বাস ও মোটরসাইকেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। শুনলাম বিকেলে মোটর সাইকেল চালক মারা গেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।