বিরল থানার এসআই স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে নগদ টাকসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ


আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর) ॥ দিনাজপুরের বিরল থানার এসআই স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজলার ১০ নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়ীতে গত বুধবার (১৬ মে) রাত আনুমানিক পৌনে এগারোটায় বিরল থানার এসআই স্বপন কুমার ওই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
লিখিত অভিযোগে আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে নাঈম রানা (২৬) জানায়, বিরল থানার এসআই স্বপন কুমার (৪৬) (বিপি নং-৮৫০৫০৮০৪৪১) ও দিনাজপুর কোতয়ালী থানার খাঁনপুর পূর্বডাঙ্গাপাড়ার মৃত আব্দুল গনির ছেলে প্রাইভেটকার ড্রাইভার তোফছের আলী (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন গত বুধবার (১৬ মে) রাত আনুমানিক পৌনে ১১ টায় আমার ও আমার বাবার অনুপস্থিতিতে বিরল থানার এসআই স্বপন কুমারসহ ড্রাইভার ও অজ্ঞাতনামা আসামীগনরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া একটি পিস্তল, টিপ চাকু, চাইনিজ টিপ স্টিক সহ ইত্যাদি বিদেশি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া একটি প্রাইভেট কার যাহার (রেজি নং: ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৪৮৮৮) আসিয়া আমার বাড়ীর সদর দরজায় ধাক্কাধাক্কি করা সহ ডাকা ডাকি করে। সেই সময় আমার মাতা নাছিমা বেগম উপরোক্ত আসামীগনদের পরিচয় চাইলে তারা পুলিশ পরিচয় দেয় এবং আসামী ধরার জন্য এসআই স্বপন কুমার হ্যান্ডকাপ বাহির করে আমার বাড়ী সার্চ করবে মর্মে জানায়। আমার মাতা আসামী নাই বলে অস্বীকার করলে এসআই স্বপন কুমার হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ প্যান্টের পকেটে রেখে হাতে পিস্তল নিয়ে আমার মাতাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। সে সময় আমার মাতা বাড়ীর সদর দরজা খুলে দিলে উক্ত সকল আসামীগনেরা আমার বাড়ীর ভিতরে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে আমার বিছানার নিচে থাকা সরকারি পুকুর ইজারার জন্য রাখা নগদ ১ লাখ ৫০০০ টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে নেয়। এরপর প্রাইভেটকার ড্রাইভার তোফছের আলী সোকেসের ড্রয়ারে থাকা প্লাস্টিকের বাক্সের ভিতরে আমার মায়ের গলার স্বর্ণের একটি চেইন, কানের দুল, হাতের বালা একজোড়া এবং মাথার টিকলী বের করে নিয়ে নেয়। আমার মাতা ডাক চিৎকার করলে আমার মাতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। সেই সময় আমার মাতা ডাক চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগণেরা লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যাওয়ার সময় আমার মাতাকে পিস্তল উঁচু করে বলে এই বিষয়ে কাউকে জানালে তোদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলায় ফাঁসানের হুমকি প্রদর্শন করে।
অভিযুক্ত বিরল থানার এস আই স্বপন কুমারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সাক্ষাতে কথা বলার কথা জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থনে এসআই স্বপন কুমার গেছেন, তবে তাঁকে না জানিয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন। কোন লিখিত অভিযোগ ছিল না। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গিয়েছিল বলে জানান। এ ব্যাপারে বিরল থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।