মঙ্গলবার- ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -২রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ English Version

নাটোরে আদালতের মালখানা থেকে নগদ প্রায় ৮৯ লাখ টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণ ও ১৯ ভরি রুপা চুরি! আটক-৪

নাটোরে আদালতের মালখানা থেকে নগদ প্রায় ৮৯ লাখ টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণ ও ১৯ ভরি রুপা চুরি! আটক-৪

নাটোর প্রতিনিধি  ::  নাটোরে আদালতের মালখানার তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও অলংকার চুরির ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মালামাল উদ্ধার ও আসামীদের আটক করতে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে চুরির বিষয়টি শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জানা যায়। আদালতের মালখানা থেকে নগদ প্রায় ৮৯ লাখ টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণ ও ১৯ ভরি রুপা চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে সম্প্রতি নাটোরের সিংড়ায় গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামের প্রাইভেটকার থেকে জব্দকৃত ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় চোরেরা কোর্ট পুলিশের রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে ফেলে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরির তথ্য পাওয়া যায়নি।
নাটোর কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের কোন এক সময় সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র কোর্ট পুলিশ দপ্তরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা মালখানার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে আলামত হিসাবে সংরক্ষণ করা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তার আগে চুরির ঘটনা এড়াতে, চোরের দলটি ভিডিও রেকর্ডার এবং এর সংযোগসহ সিসিটিভি সিস্টেম সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে কোর্ট পুলিশের সদস্য ও কর্মকর্তারা দপ্তরে গিয়ে ঘটনা দেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট্র মোঃ আল আমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটায় প্রস্তুত চুরি যাওয়া তালিকায় নগদ ৮৯ লাখ টাকা ও প্রায় ২৪ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের রুপা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ খোয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরির তথ্য পাওয়া যায়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন জানান, জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।  প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
১১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS