বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বীরগঞ্জে আবারও জেঁকে বসেছে তীব্র শীত

বীরগঞ্জে আবারও জেঁকে বসেছে তীব্র শীত

Views

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দু’দিন ধরে আবারও জেঁকে তীব্র শত্যপ্রাবাহ। তীব্র শীতে শীতে জুবুথুবু দুঃস্থ মানুষ। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দারুণ বিপর্যয়। সেই সাথে বয়স্ক ও শিশুদের বেড়েছে শীত বাহিত রোগের পাদুর্ভাব।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়াসহ ও হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। তীব্র শীতের কারণে অনেকে ভারি কাপড় পরে নিজ নিজ কর্মে ছুটলেও শীতের কাপড় কেনার সাধ্যের বাইরে থাকা অনেক দুঃস্থ মানুষ শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। অনেকে কম্বল ও গরম কাপড়ের আশায় এলাকার সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হচ্ছে দুঃস্থ মানুষগুলো। হিমালয়ের পাদদেশ খ্যাত এবং সীমান্ত ঘেঁষা এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক সাধারণ মানুষ সাময়িক ভাবে শীতের তীব্রতা নিবারণের জন্য ঠান্ডায় হিম হওয়া শরীর খড়কুটো জালিয়ে আগুনে তাপ নিয়ে তাৎক্ষণিক শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চায়ের দোকান গুলোতে অনেক মানুষ এক বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে গরম চায়ের কাপে আয়েস করে চুমুক দিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। সে কারণে গরম কাপড়, গরম খাবার ও চায়ের দোকান গুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘন কুয়াশায় দুর পাল্লার যানবাহন চলাচল হেট লাইট জ্বালিয়ে।

উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের ভ্যান চালক রিয়াজুল ইসলাম জানান,তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যয় নেমে মানুষের মধ্যে। ঠান্ডার প্রকোপে যাত্রী তুলনামূলক কম থাকায় রোজগার কমেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম হচ্ছে। এই ইনকাম দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রিকশা চালক আব্দুর কুদ্দুস
জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে শরীর মনে হয় জমে যাচ্ছে। সকাল থেকে কোন কাজে যেতে পারিনি। তাই খড়কুটো জালিয়ে আগুনের তাপ নিয়ে শরীর গরম করছি। মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কথাও কোন প্রকার রোদ বা সূর্যের দেখা মেলেনি।
তাপমাত্রা কমছেই চার জেলার মধ্যদিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে সবাই জবুথবু, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার একই অবস্থা। কেউ খড়ের মধ্যে, কেউবা শুকনা খড়ির মধ্যে আবার কেউ কাগজের কোনো কার্টুনে আগুন ধরিয়ে চারপাশে মিলে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে যে যেভাবে পারছেন আগুনের তাপ পোহাচ্ছেন। তীব্র শত্যপ্রবাহ কতদিন থাকবে তা নিয় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে চলছে নানা কৌতুহল।

Share This

COMMENTS