রবিবার- ৩০শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৬ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রিন কার্ডের’ টোপ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রিন কার্ডের’ টোপ ট্রাম্পের

ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনধারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাধারণত অভিবাসন বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হলেও এই ঘোষণা তাঁর সুর নরম হওয়ার লক্ষণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরই গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প অল-ইন পডকাস্টকে এমন কথা বললেন। অল–ইন ব্যবসা এবং প্রযুক্তির খবর পডকাস্ট করে থাকে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা করতে চাই এবং আমি যা করব, তা হলো, আপনি একটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েটধারী হোন। আমি মনে করি, ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিলে আপনি গ্রিন কার্ড পেতে সক্ষম হবেন এবং এ দেশে থেকেই করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী আবাসন কার্ডই সাধারণত গ্রিন কার্ড নামে পরিচিত। আর এটি হলো দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি ধাপ।
ট্রাম্প বলেন, কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি বা জুনিয়র কলেজ হিসেবে পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও কেউ দুই বছরের প্রোগ্রাম শেষ করতে পারলে তাঁরা গ্রিন কার্ড পাবেন। ডক্টরেট গ্র্যাজুয়েটধারীরাও এই কার্ড পাবেন।
পডকাস্টে শুরুতে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি ‘বিশ্বের সেরা এবং উদীয়মান শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেবেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন অনেকের কথা জানি, যাঁরা এখানকার নামকরা বা সাধারণ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন এবং তাঁরা এখানে থাকতে মরিয়া…কিন্তু পারছেন না।’
ট্রাম্প বলেন, তাঁরা ভারতে ফিরে যাচ্ছেন, চীনে ফিরে যাচ্ছেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে একই ধরনের কোম্পানি চালু করছেন এবং তাঁরা হাজারো জনবল নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠছেন।
আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আরও বলেন, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে করিৎকর্মা জনবল দরকার। কিন্তু তারা এখানকার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো চুক্তিও করতে পারেন না। কারণ, তাঁরা মনে করেন না, তাঁরা এ দেশে থাকতে পারবেন। আর কাজটি প্রথম দিনেই (ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন) শেষ করা হবে।
২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বেশির ভাগ মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।
১১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS