রবিবার- ৩০শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৬ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঘায় আ’লীগের মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা,আহত ২৫

বাঘায় আ’লীগের মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা,আহত ২৫

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি  : রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের অবস্থা আশংকা জনক। তাঁদেরকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার (২২ জুন)সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ একাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০ টায় বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন এর ডাকদেন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগ। অপর দিকে ঠিক একই সময়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের আধিপত্য বিস্তার,অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দলিল প্রতি অতি রিক্ত ফ্রি আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা করেন আক্কাস আলী ও তার সমর্থীতরা।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, বাঘা উপজেলা আ’লীগ উপজেলা চত্বরের সামনে মানব বন্ধনে দাড়া নোর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর,তার ভ্যাগনা পাকুড়িয়া (ইউপি চেয়ারম্যান) মেরাজুল ইসলাম মেরাজ , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম মুক্তার নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত ক্যাডার বাহিনী দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল , লোহার পাইপ ইট এবং পাথরের টুকরা নিয়ে ঐ মানব বন্ধনের উপর হামরা চালাই। এ ঘটনায় মাথায় চাইনিজ কুড়ালের কোপ খেয়ে গুরুত্ব আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর ইসলাম বাবুল। এ ছাড়াও আহত হন- আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম(রফিক), ফিরোজ আহাম্মেদ, ইস্তেয়ার হোসেন, শাহাদত হোসেন , মাসুদ রানা,জয়,কামাল হোসেন , উজ্জল, আব্দুল খালেক, জারমান আলী ও শফিউর রহমান শফি সহ প্রায় ২৫ জন। এর মধ্যে আক্কাস গুপে আহতের সংখ্যা পাঁচ জন।
এদিকে উক্ত ঘটনার পর বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে গুরুত্ব আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে ১২ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কম প্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাঁকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যার সত্যতা নিশ্চিত করেন কর্তব্যরাত চিকিৎসক ডা: সঞ্জয় কুমার ।
এলাকার লোকজন জানান, গত ৫ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রতিপক্ষ বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী সমর্থীত প্রার্থী এ্যাডঃ লায়েব উদ্দিন লাভলু ১০৬ ভোটে জয় লাভের পর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে শুরু করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সর্বশেষ বাঘা দলিল লেখক সমিতির আধিপত্যা বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১০ জুন দুই পক্ষের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়। অত:পর (২২জুন) শনিবার সকালে উপজেলা আ’লীগ প্রতিপক্ষ আক্কাছ আলীর অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে মানব বন্ধনের ডাক দিলে তারা ঐ মানব বন্ধনে অতর্কিত হামরা চাইল।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ইন্সেপেক্টর তদন্ত) সোহেব খান জানান, আমরা দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে বেশ কিছু রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছি। একই সাথে আক্কাস গুপের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। তবে বিশেষ-বিশেষ জায়গায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
২৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares